নিজস্ব প্রতিনিধি:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় শেষ হয়েছে। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আন্দোলনে থাকা বিএনপি অনেক আলোচনার এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে অংশ নিচ্ছে অন্তত ৩০ রাজনৈতিক দল।
নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ৩০০ সংসদীয় আসনে এবার মোট ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যার মধ্যে ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ডামি/বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচনে দলীয়ভাবে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের ইঙ্গিত অনুযায়ী পুনঃতফসিল হচ্ছে না। ফলে এখন থেকে নতুন কারো অংশগ্রহণের আর সুযোগ নাই। ৩০ রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র এবং আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থী মিলিয়ে ভোটের লড়াইয়ে এখন ২ হাজার ৭৪১ জন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের সংখ্যা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলছে, তবে এটা নির্বাচনী মৌলিক ধারণার সঙ্গে যাচ্ছে না। বিপুল সংখ্যক প্রার্থী, তবে সরকার গঠনে আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভাবনায় নেই অন্য কেউ। আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে প্রমাণ করতে হবে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে—এমনটা বলছি না; তারপরেও নির্বাচনের আগেই সরকার গঠনের বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। এমন অবস্থায় দেশে নির্বাচনী আমেজ কি নিয়ে আসা সম্ভব? সম্ভব নয়। হয়েছেও তাই। এত এত প্রার্থী, তবু নেই নির্বাচনের আমেজ, উৎসব।
নির্বাচনে পৌনে তিন হাজার প্রার্থী, তবু যেন ‘অটো-পাস’ আমেজ! এটা জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে না, এটা জনগণের প্রতি জনপ্রতিনিধি ও সরকারের দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের পথ দেখায় না।
প্রার্থী ও দল সংখ্যায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের একটা শর্ত পূরণ হয় হয়তো, কিন্তু এর মাধ্যমে জনতার গুরুত্ব বাড়ছে না, বরং ক্রমে কমছে।
সময় জার্নাল/এলআর