সময় জার্নাল ডেস্ক:
আল্লাহ মেঘ দে পানি দে ছায়া দে-রে তুই আল্লাহ... মাঝি বাইয়া যাও রে... আমার কাঙ্খের কলসি... প্রাণ সখিরে বাবলা বনের ধারে ধারে... অসংখ্য কবিতাও গানের ¯্রষ্টা আবদুল হাই মাশরেকীর ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল সোমবার।
১৯৮৮ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। এ উপলক্ষে ‘মাসিক জনপ্রশাসন’ পত্রিকার কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে কবি আবদুল হাই মাশরেকী গবেষণা কেন্দ্র।
এ ছাড়া ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় কবির কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে।
আবদুল হাই মাশরেকী ১৯০৯ সালের ১ এপ্রিল ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের কাঁকনহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই গান ও কবিতা রচনা করতেন তিনি। বাংলা সাহিত্যে তিনি প্রথম হত্যা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কবিতাকে প্রতিবাদের হাতিয়ারে পরিণত করেছেন।
উল্লেখ্য, লোককবি আবদুল হাই মাশরেকীর ‘আল্লাহ্ মেঘ দে পানি দে ছায়া দেরে তুই আল্লাহ...’ অমর গান আজও বাংলার মানুষের কাছে জনপ্রিয়।
তাঁর গ্রন্থগুলোর মধ্যে আধুনিক কাব্য ‘কিছু রেখে যেতে চাই’, ‘হে আমার দেশ’, ‘দেশ দেশ নন্দিতা,’ ‘মাঠের কবিতা মাঠের গান', ‘কাল নিরবধি’; গীতিনাট্য ও কাব্য ‘ভাটিয়ালী'; পুঁথি কাব্য ‘হযরত আবু বকর (রা.),’ খ- কাব্য ‘অভিশপ্তের বাণী’, পালাগান ‘রাখালবন্ধু', ‘জরিনা সুন্দরী’, পল্লিগীতিকা ‘ডাল ধরিয়া নুয়াইয়া কন্যা’, জারি ‘দুখু মিয়ার জারি,’ ছোটদের কাব্য ‘হুতুম ভুতুম রাত্রি’, গল্প ‘কুলসুম’, ‘বাউল মনের নকশা’, ‘মানুষ ও লাশ', ‘নদী ভাঙে’; নাট ‘সাঁকো’, ‘নতুন গাঁয়ের কাহিনী’; অনুবাদ ‘আকাশ কেন নীল’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
সময় জার্নাল/এলআর