জোবায়ের আহমদ, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) এর বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের শিক্ষার্থী মোছা. মাহমুদা খাতুন চৈতী আমেরিকার উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ক্যাম্পাসে ক্যান্সার গবেষণার জন্য নিয়োগ পেয়েছেন।
উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ মেডিসিন এবং পাবলিক হেলথ এর অধীনে অনকোলজি বিভাগের ম্যাকআর্ডল গবেষণাগারে তিনি মরণঘাতি রোগ ক্যান্সার নিয়ে একজন গবেষণা সহকারী হিসেবে গবেষণা করবেন । নিয়োগপত্রে, প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষ করে মাহমুদা খাতুন সেখানে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পাবেন বলেও জানা যায়।
মাহমুদা খাতুনের বাড়ি সিরাজগঞ্জের দত্তবাড়ী গ্রামে। তিনি সালেহা ইসহাক সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকে তৃতীয় ও স্নাতকোত্তরে প্রথমস্থান দখল করে সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি জাপানের দি উইহারা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ পেয়ে সিমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধিনে স্নাতকোত্তর করার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের কাঠামোগত প্রোটিনের গঠনকে কেন্দ্র করে কিভাবে করোনা ভাইরাসের ঔষধ তৈরি করা যায় সেটা নিয়ে গবেষণা করেছেন। বর্তমানে তিনি আমেরিকার ম্যাকআর্ডল গবেষণাগারে ক্যান্সার নিয়ে গবেষণার জন্য সহকারী গবেষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
তার অনূভুতির কথা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অনেক ত্যাগ ও ধৈর্যের ফলে আজকের এই প্রাপ্তি। যে ল্যাবের পেপার পরতাম আর ভাবতাম একদিন যদি অমন ল্যাবে কাজ করতে পারতাম! সকলের দোয়ায় সেটা আজ সত্যি হবার পথে। বড় হবার প্রচন্ড ইচ্ছাই মানুষকে বড় করে তোলে এই কথাটি আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। আমার এই প্রাপ্তির পিছনে প্রচন্ড কঠোর পরিশ্রম আর ডেডিকেশন রয়েছে। এই চলার পথে যে মানুষটি আমাকে সব সময় সাহস দিয়ে গেছে সে হল আমার স্বামী শরিফুল ইসলাম। আমি কৃতজ্ঞ আমার ফ্যামিলির প্রতি আমার শ্বশুর বাড়ির সবার প্রতি,যারা সব সময় আমার পাশে থেকে আমাকে সাহস জুগিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ আমার সকল শিক্ষকগনের প্রতি, যাদের শিক্ষা আর দেখানো স্বপ্ন দেখে আজ আমি এইখানে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার জাপানিজ সুপারভাইজারদের প্রতি যারা এতোটুকু কৃপনতা করেনি আমার রিকমেন্ডেশন লেটারে। সর্বশেষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার প্রানপ্রিয় বন্ধুদের প্রতি যারা সব সময় আমাকে সাহস আর ভালো বুদ্ধি দিয়ে গেছে।
এমআই