বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

ফরিদপুর নদী বন্দর নাব্যতা সংকটে অচলাবস্থার পথে

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
ফরিদপুর নদী বন্দর নাব্যতা সংকটে অচলাবস্থার পথে

এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি: 

পদ্মা নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে ডুবোচরে নৌযান আটকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে ফরিদপুর নদী বন্দর ব্যবহারকারীরা। দ্রুত  এ নৌ-বন্দরে প্রবেশের চ্যানেলের বিভিন্ন স্থানে ড্রেজিং না করা হলে বন্দরটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার শংকায় সংশ্লিষ্টরা। 

এরই মধ্যে জাহাজ কম আসায় রাজস্বও করতে শুরু করেছে বন্দরের। যদিও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।

নুর ফার্মা জাহাজের মাস্টা মো. সাদেক মোল্লা, তানিসা জাহাজের মাস্টার মো. মিন্টু, জাহাজ চালক মো. ইকরাম জানান, বন্দর ব্যবহারকারী জাহাজের নাবিক-শ্রমিকরা জানান, একটি জাহাজ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পানির ১০ থেকে ১২ ফুট গভীরতা প্রয়েজন হলেও এই চ্যানেলের কোথাও কোথাও তা চার থেকে ছয় ফুটে নেমে এসেছে, ফলে বড় জাহাজগুলো ঘাটে আসতে পারছেনা।

এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। দিনের পর দিন নদীর মধ্যে জাহাজ নোঙ্গর করে রাখতে হচ্ছে, এতে সময় ব্যায় হচ্ছে কয়েকগুন।

এই বন্দরে পন্য খালাসে কাজ করেন সহস্রাধিক শ্রমিক। শ্রমিক সর্দার মো. রঘু সর্দার, ট্রাক চালক মহিদসহ শ্রমিকরা জানান, বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে পথে বসতে হবে তাদের। এছাড়া জাহাজগুলো ঘাটে ভিড়তে না পারায় চালকসহ অন্যদেরও ব্যবসায়ীকভাবেও ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে মনে করেন তারা।  

মেসার্স মুজিবুর রহমান এর প্রতিনিধি মো. আলাউদ্দিন শেখ, ঠিকাদার মো. ওয়াহিদসহ ব্যবসায়ীরা জানান, ফরিদপুরের একমাত্র নদী বন্দরটি দিয়ে চাউল, গম, সিমেন্ট, সিলেকশন বালিসহ প্রায় ৪০ ধরনের পস্য সামগ্রী আনয়ন করা হয়। চলতি শুকনো মৌসুমের শুরুতেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পানি অস্বাভাবিভাবে শুকিয়ে যাওয়ায় বড় বড় জাহাজগুলো বন্দর পর্যন্ত আসতে পারছেনা। এতে সংকটে পড়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। 

ফরিদপুরের ডিক্রির চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির জানান, এরই মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও অদ্যবদি কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অবিলম্বে ড্রেজিং কাজ শুরু না হলে কিছুদিনের মধ্যেই বন্দর অচল হয়ে যাওয়ার শংকায় শংকিত তারা। 

তারা আরো  জানান, এরই মধ্যে নিয়মিত আদায়ের রাজস্বও কমতে শুরু করেছে বন্দরটির। যদিও দ্রততম সময়ের মধ্যে এ অবস্থা নিরসনে আশ্বাস দিয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহ্সান তালুকদার। 

তিনি আরো জানান, এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে চিঠি দেয়া বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। শীঘ্রই  কাজ শুরু করতে উদ্যোগ নেয়া হবে। বলে জানান ত। খাদ্য পন্যের পাশাপাশি এ বন্দর দিয় বিপুল পরিমান নির্মাণ সামগ্রী আনা হয়, সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করানো যায়। 

প্রসঙ্গত,  পদ্মা নদীর ফরিদপুরের সিএ্যান্ডবি ঘাটকে ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট “ফরিদপুর নদী বন্দর” ঘোষনা করা হয়। ২০১৭ সালের ০৪ সেপ্টেম্বর থেকে ফরিদপুর নদী বন্দর হিসেবে ইজারা প্রদান করা হয়। 

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল