অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুরে গত তিনদিন থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউমের’ প্রভাবে গুড়গুড়ি হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। কিছুক্ষণ পরপর বৃষ্টি হওয়ায় অফিস আদালতগামী মানুষের যেমন যাতায়তে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে পরীক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় যাওয়াতে বেগপেতে হচ্ছে।
আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিলো ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউমের’ প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে দেশে তিনদিন বৃষ্টি হবে। সেইসাথে রাতের তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনাও জানানো হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের ঘোষণা অনুযায়ী আজ বৃষ্টির তৃতীয় দিন চলমান।
মঙ্গলবার সকাল থেকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের আকাশে কোথাও সূর্য দেখা যায়নি। আকাশ কালো ঘন মেঘে ঢাকা ছিলো। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের সাথে শীতের প্রভাব বেড়ে গেছে। লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থান ঘুরার সময় অনেক জায়গায় শীতের প্রকোপে আগুন জ্বালিয়ে পোহাতে দেখা গেছে।
লক্ষ্মীপুরের ব্যস্ততম উত্তর স্টেশন অনেকটা ফাঁকা ছিলো। দূরপাল্লার যানবাহন তেমন চলতে দেখা যায়নি তবে দু একটা আনন্দ বাস, সিএনজি ও অটো চোখে পড়েছিল।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন দলীয় নেতাকর্মীদের সরগরম উপস্থিতি থাকলেও গত তিনদিন মিগজাউমের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টি ও শীতের প্রকোপে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের আকাশে কালো ঘন মেঘে ছেয়ে আছে। সেইসাথে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ঝরছে। গত তিনদিন অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছে না বলে জানিয়েছেন এ প্রতিবেদককে। অনেকের মনে এখনো মিগজাউম ভীতি রয়েছে বলে জানা যায়।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর মজুচৌধুরী ঘাট, বুড়ির ঘাট, মতিরহাট, লুদুয়া, নাসিরগঞ্জ, কমলনগর ও আলেকজান্ডার ঘুরে জানা গেছে মিগজাউমের প্রভাবে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে বের হয়নি। তারা আবহাওয়া অফিসের সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা নৌকা নিয়ে বের হবেন না বলে আবীর আকাশ জার্নালকে জানিয়েছেন।
নদীতে প্রবল বাতাস থাকায় ও জোয়ারের পানির তীব্র ঢেউ উপকূলে আছড়ে পড়ছে। উপকূল ও নদীর তীরবর্তী এলাকার অনেক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বিভিন্ন স্থানসহ সরকারি আশ্রয়ন কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় সব সমুদ্র বন্দরে সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে। এ জন্য সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এমআই