এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি সম্প্রতি মেয়াদ শেষ হয়েছে। অতি দ্রুত ফরিদপুর জেলা কমিটি গঠন করার জন্য দাবী জানিয়েছেন এককালের তুখোর ছাত্রনেতারা। সুন্দর পরিবেশে বির্তকবিহীন কর্মঠ কর্মীবন্ধব নেতাদের নিয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করার দাবি তাদের।
সাবেক ছাত্রনেতা ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. অহিদুর রহমান বলেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কমিটিতে মাদক, টেন্ডারবাজ, ধান্দাবাজ, হাইব্রীড, অনুপ্রবেশকারীবিহীন একটি সুন্দর কমিটি চাই।
ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম রিপন বলেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি চাই এমন নেতা দিয়ে যেসকল নেতারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করে, সে সকল নেতা ত্যাগি নেতা, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সবসময় রাজপথে ছিল কোন টেন্ডার বাজি করবে না, কোন অনুপ্রবেশকারীদের সহযোগিতা করবে না, দলের পদ-পদবী ব্যবহার করে টেন্ডারবাজি করবে না, নিজের পকেট ভরবে না। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী ও প্রতিটি কর্মীর সাথে যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক রাখবে ঐ ধরনের নেতাদের নিয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের একটি কমিটি গঠন চাই।
৯০’এর গণআন্দোলন ও এরশাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা কাজী বিভূল, সাবেক ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে সৎ, যোগ্য, ধান্দাবিহীন, বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ধারণ করে এমন নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি সুন্দর ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কমিটি চাই।
চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা এ্যাডঃ সরদার আওয়াল হোসেন বলেন, আবেগ, গ্রুপিং বিবেচনায় নেতা সিলেকশন হলে দলের ভরাডুবি নিশ্চিত। ফরিদপুরে নিয়মিত বসবাস করে দলের জন্য সক্রিয়, কর্মী বান্ধব, সদালাপী, ভদ্রলোক-এ রকম নেতা দিয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সধারণ সম্পাদক মনোনয়ন দেওয়া হোক এবং যারা সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারবে।
সরকারি ইয়াসিন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি গালিবুজ্জামান বলেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের নেতা থাকবে কর্মী বান্ধব, রাজপথে লড়াকু সৈনিক এবং প্রকৃত আওয়ামী লীগ যারা করে তাদেরকে নিয়ে।
সময় জার্নাল/ইএইচ