কাউছার আহমেদ, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের( নোবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের সনাতন ধর্মালম্বী শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। নোবিপ্রবির সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ "গিরিশ গহীনে" এ তীর্থযাত্রার আয়োজন করে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) নোবিপ্রবির ৯৬ জন সনাতনী শিক্ষার্থীদের নিয়ে চন্দ্রনাথ মন্দিরসহ আশপাশের ১০ টি মন্দির ভ্রমণ করে।
তীর্থ ভ্রমণ প্রতিটি সনাতনীর জন্য অনেক ভাগ্যের এবং পুন্যের। জীবিতকালের কতশত আয়োজনের মাঝে ঈশ্বরের একান্ত আরাধনা করার উপযুক্ত স্থান তীর্থক্ষেত্র। তীর্থযাত্রা অন্তরাত্মাকে পুনরজ্জীবিত করে চলার পথকে মসৃণ করে। ঈশ্বরের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ করে দেয়। বাবা ভোলানাথের আশীর্বাদ এবং অন্তরাত্মার আহবানে সনাতনীদের অন্যতম শক্তিপীঠ চন্দ্রনাথ দর্শন করার সৌভাগ্য অর্জন করে নোবিপ্রবির সনাতনী শিক্ষার্থীরা । এ তীর্থযাত্রাটির নাম দেয়া হয় "গিরিশ গহীনে"। গিরিশ মানে পর্বতের স্বামী,যা ভগবান শিবের অপর নাম।
তীর্থযাত্রায় উপস্থিত ও আয়োজক দলের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, "আমাদের সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, নোবিপ্রবি শাখা এর পক্ষ থেকে এটি প্রথম তীর্থযাত্রা। বেশ সফল ও সুন্দরভাবে আমরা তীর্থযাত্রা সম্পন্ন করতে পেরেছি। সকলে নির্বিঘ্নে চন্দ্রনাথ মন্দির দর্শন করে বেশ উৎফুল্ল ও সন্তুষ্ট ছিল। আমরা আশাবাদী আগামীতেও এরকম আয়োজন করা হবে।"
উৎফুল্ল ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাজু নন্দী বলেন,"ট্যুরিজমের ছাত্র হিসেবে ভ্রমণের কথা শুনলে এক অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে । যখন জানতে পারলাম সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ , নোবিপ্রবি কর্তৃক আয়োজন করা হচ্ছে তীর্থ যাত্রা আর তা 'চন্দ্রনাথে ' তাও প্রথমবারের মতো, তখন ব্যক্তিগত ভাবে নিশ্চিত ছিলাম যে আমি যাব।যা আশা করেছিলাম তার থেকে বেশি পেয়েছি। আমিও প্রথম বার গিয়েছিলাম 'চন্দ্রনাথ' এ।দারুন কিছু স্মৃতি সাথে নিয়ে এসেছি।"
সময় জার্নাল/এলআর