এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর সদরের (৩ আসন) কানাইপুর ইউনিয়নের রায়কাইল এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে. আজাদের সমর্থকদেরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ফরিদপুর ৩ আসনের নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সমর্থক এবং স্থানীয় সাবেক মেম্বার মোঃ ছোহরাব শেখের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।
হামলা শিকার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত ৯ টার দিকে স্থানীয় ইয়াছিন বেপারীর চায়ের দোকানে ৩০ থেকে ৪০ জন লোক নিয়ে তাদের উপরে দেশীয় রামদা, ছ্যান, লাঠি, হকস্টিক দিয়ে হামলা চালায়। এসময় তারা দোকানপাটে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা দাবি করেছেন, তারা ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে. আজাদের সমর্থক আর এ কারণেই তাদের উপর দলবল নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ফরিদপুর ৩ আসনের নৌকার প্রার্থী প্রার্থী শামীম হকের সমর্থক বলে জানান আহতরা।
সাবেক মেম্বার মোঃ ছোহরাব শেখের দুটি মোবাইল নাম্বারই বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি পলাতক আছেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতায়ালী থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ ও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন মোঃ আলমগীর প্রধানিয়া (৩০)।
থানায় ডায়েরি সুত্রে জানা যায়, ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন রায়কাইল গ্রামস্থ ইয়াছিন বেপারীর চায়ের দোকানের সামনে চা পানরত অবস্থায় আলমগীর প্রধানিয়ার উপর সাবেক মেম্বার মোঃ ছোরহাব শেখ (৪০), মোঃ কবির মোল্লা (৫০), চঞ্চল মিয়া (৫০), মোঃ তাওহিদ ইবনে আলম সারজেন মিয়া (৩৫), মোঃ আসলাম (৩৬), মোঃ জাহিদুল শেখ (৩২), মোঃ শরিফ মিয়া (২৮), ৮। মোঃ কুদ্দুস বেপারী (৫০), মোঃ মুবেল (৩৫) সহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জন ইয়াছিন বেপারীর চায়ের দোকানে হামলা চালায়। এসময় তার চিৎকারে নুরুল আমিন প্রধানিয়া, আজিম উদ্দিন বিশ্বাস, মিন্টু প্রধানিয়া, হযরত আলী খান, আলামিন মাতবার, নূর মোহাম্মদ, ইয়াছিন, সেলিমসহ আরো লোকজন এসে থেকে বাচানোর চেষ্টা করলে তারাও গুরুত্বর জখম হন। এসময় আসামীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে।
মোঃ আলমগীর প্রধানিয়া জানান, আমি ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জননেতা এ.কে আজাদের সমর্থনে এ এলাকায় কাজ করছি। আমাকে এ আসনের নৌকার প্রার্থী শামিম হকের পক্ষে কাজ করতে শামিম হকের সমর্থক সাবেক মেম্বার ছোহরাব শেখ নানা ভাবে চাপ দিচ্ছিলো। আমি আজাদ ভাইয়ের পক্ষে কাজ করছি এটা জানতে পেরে গত রাতে চা খাওয়া অবস্থায় আমার উপর হকিস্টিক, লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। আর বলে, আমি যেন আজাদ ভাইয়ের পক্ষে কাজ না করি। তারা হামলার সময় বলতে থাকে আজাদ সাহেবের নির্বাচন যারা করবে তাদের মাইরা হাড়গোড় ভেঙ্গে দেওয়া হবে। এ দেশে তাদের থাকতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, এসময় পুলিশকে খবর দিলে তারা পালিয়ে যায়। আতদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশের দুটি টিম পাঠানো হয়। তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। এসময় উভয় পক্ষকেই শান্ত থাকতে বলি। আমরা এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
এমআই