নিজস্ব প্রতিবেদক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আপিল আবেদন শুনানির দ্বিতীয় দিনের শুরুর দিকে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ১৯ প্রার্থী। আজ সোমবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুনানিতে তারা প্রার্থিতা ফিরে পান।
এর আগে মনোনয়নপত্র বাছাইকালে রিটার্নিং কর্মকর্তারা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ, ঢাকা-১৪ আসনের তৃণমূল বিএনপি মো. নাজমুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ, কুষ্টিয়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের নূরে আলম সিদ্দিক, রংপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র মোছা. সুমনা আক্তার, ঢাকা-৫ আসনের সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের নুরুল আমিন, বাগেরহাট-২ আসনে জাতীয় পার্টির হাজরা সহীদুল ইসলাম, গাইবান্ধা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. মাছুমা আখতার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
এছাড়া কুমিল্লা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল মজিদ, ঢাকা-১৯ আসনের বিএসপির মো. জুলহাস, ঢাকা-১২ আসনের বিএনএফের মো. আতিকুর রহমান নাজিম, রাজবাড়ী-২ আসনে তৃণমূল বিএনপির এসএম ফজলুল হক, নোয়াখালী-১ আসনে স্বতন্ত্রী প্রার্থী খন্দকার আর আমিন, বাগেরহাট-২ আসনে তৃণমূল বিএনপি মরিয়ম সুলতানা, জামালপুর-৪ আসনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের তারিক মাহদী, ঢাকা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারহানা সাঈদ, বাগেরহাট-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আজমল ও বাগেরহাট-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামিল হোসেনও প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
শুনানিতে ২০টি আপিল আবেদন নামঞ্জুর করেছে ইসি। পাঁচটি আপিল আবেদনের রায় ঝুলে আছে। অন্যদিকে, গতকাল রোববার প্রথম দিনে ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে ৩২টি, পেন্ডিং ছিল ছয়টি আবেদন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছিল। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।
এমআই