সর্বশেষ সংবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : রাজধানীর পল্লবীতে প্রকাশ্যে ছেলের সামনে বাবা সাহিনুদ্দীনকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। র্যাব বলছে, সাবেক এই এমপি’র নির্দেশেই সাহিনুদ্দীনকে হত্যা করা হয়।
৪ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার (২৬ মে) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপি’র গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পল্লবী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত শুক্রবার (২১ মে) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২০ মে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও মামলার প্রধান আসামি এম এ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এর আগে, ১৬ মে বিকেলে জমির বিরোধের মীমাংসার কথা বলে সাহিনুদ্দীনকে পল্লবী থানার ডি-ব্লকের একটি গ্যারেজের ভেতর নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা আকলিমা বেগমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার পরদিন (১৭ মে) পল্লবী থানায় হত্যা মামলা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক শাহীন উদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেয়। শাহিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে, সুমন ও টিটুসহ ১৪-১৫ জন মিলে তাকে টেনে-হিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়। এ সময় শাহিনের ৬ বছর বয়সী ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। তারা শাহিনকে গ্যারেজে ঢুকিয়ে চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর তাকে ওই গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই শাহীনের মৃত্যু হয়।
আকলিমার অভিযোগ, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি এবং লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা শাহীনকে হত্যা করেছে। আনুমানিক ৫ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেয়ায় তাকে খুন করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল। অন্য আসামিরা হলো- ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুমন, কামরুল, কিবরিয়া, দিপু, আবদুর রাজ্জাক, বাইট্যা বাবু, বড় শফিক, কালু ওরফে কালা বাবু, মরন আলী, মো. আবু তাহের, মুরাদ, মানিক, মনির, শফিক, টিটু, লিটন, আবুল ইয়াবা বাবু ও নাটা সুমন। আসামিরা পল্লবী থানা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
সময় জার্নাল/এসএ
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল