বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, বাকৃবি:
দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রথমে আমাদের পরিবেশকে বাঁচাতে হবে। শুধু কৃষির যান্ত্রিকীকরণ দিয়ে কিছু হবে না, বরং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বাঁচাতে হবে কৃষিকে। তাই কৃষিবিদদের লক্ষ্য হওয়া উচিত কৃষিকে গ্রিণ হাউজে ধাবিত করা।
পরিবেশের ওপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় এর ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে আয়োজিত ‘রিডিউসিং সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ইন স্টুডেন্ট ডরমেটরি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিধির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট ও জিনল্যাবের সহযোগিতায় ‘ইয়ুথ সল্যুশান, নো পলউিশান’ (ইউনো) ক্যাম্পেনের অংশ হিসেবে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
ড. শামসুল আলম আরও বলেন, পরিবেশ দূষণের জন্য অন্যতম বড় কারণ প্লাস্টিক। সরকারের ১০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনায় মাটি, পানি ও বায়ু দূষণ থেকে পরিবেশকে রক্ষা করা যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেখানে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর বিষয়েও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের রূপকল্প অনুযায়ী এগিয়ে যাব। আমি তরুণদের আহবান জানাব আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে, পাশাপাশি অন্যজনকেও পরিবর্তন করতে হবে।
বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, ইউনো’র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, জিনল্যাবের প্রোগ্রাম লিড ইসরাত বিনতে রউফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইউনো’র প্রোজেক্ট লিড ড. রিফাত আরা জান্নাত তমা।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ দূষণ রোধে সোচ্চার বাকৃবিতে অধ্যয়নরত ৪০ জন শিক্ষার্থীকে শপথ বাক্য পাঠ করান অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।
এসময় বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বেঁচে থাকার জন্য আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অক্সিজেন ও পানি আমরা পরিবেশ থেকে পাই। তাই পরিবেশ রক্ষায় যদি এখনই সোচ্চার না হই, তবে এর জন্য আমাদের বড় মাশুল দিতে হবে। প্লাস্টিক দীর্ঘদিন মাটিতে পড়ে থাকলে একসময় এর ছোট ছোট কণা আমাদের খাদ্যের মধ্যে চলে আসে, যা পরবর্তীতে নানা জটিল রোগের সৃষ্টি করে। সাইনবোর্ড দিয়ে কখনও প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। উন্নত দেশে এর ব্যবহার থাকলেও নির্দিষ্ট প্রয়োগ বিধি আছে।
ড. এমদাদ আরও বলেন, স্মার্ট কৃষির সঠিক ব্যবহারের জন্য স্মার্ট গ্রাজুয়েট ও স্মার্ট কৃষক তৈরি করতে হবে। এজন্য মানসম্পন্ন বিশেষায়িত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন।
এমআই