মো. ফরিদুল ইসলাম, সিকৃবি প্রতিনিধি:
বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেট মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি সিকৃবির প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা। শোভাযাত্রা শেষে পুষ্পস্তবক দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর, জাতীয় দিবস উৎযাপন কমিটি, বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দরা।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, "মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে প্রত্যেক অঞ্চলে আঞ্চলিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিলো, সিলেটের সর্বস্তরের জনগণ সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলো। এছাড়াও পাকিস্তানিরা সিলেটের তৎকালীন মৌলভীবাজার বিমানবন্দর দখল করতে চাইলে সিলেটের জনগন যেভাবে প্রতিরোধ করেছিলো সে ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, ইতিহাস জেনে অনুপ্রেরণা নিয়ে দেশমাতৃকার জন্য কাজ করতে হবে।
এছাড়া তিনি আরও বলেন এদেশে যারা রাজাকার, আলশামস, আলবদর ছিলো তারা এখনও বিএনপির ছত্রছায়ায় থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে বাধা দিচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কাজ করতে আহ্বান করে বলেন কোনো পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের এই বাংলাদেশে জায়গা হবে না, আমরা সকলে মিলে দেশের জন্য কাজ করবো এবং দেশ গড়ার শপথ নিবো।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ভারত সীমান্তঘেঁষা সিলেট জেলা পাক হানাদারমুক্ত হয়। এদিন মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর তুমুল প্রতিরোধের মুখে পাক বাহিনী সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণ করে। হানাদারমুক্ত হয় সিলেট।
সময় জার্নাল/এলআর