বাকৃবি প্রতিনিধি:
যথাযোগ্য মর্যাদা ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে কুঁচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনীর আয়োজন করে বিশ^বিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ^বিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ ‘মরণসাগরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। এসময় শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর বিজয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দ্রুতই চার হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতার থেকে উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত হবে। স্বাধীনতার পর আমরা শিক্ষা, দারিদ্রতার হার হ্রাসসহ নানা দিক দিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে গিয়েছি।
এই ধারা অব্যহত থাকলে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের জীবনযাত্রার মানের দিক দিয়ে আমরা দ্রুতই ভারত, পাকিস্তানসহ প্রতিবেশি দেশ গুলোকে ছাড়িয়ে যাবো। তবে স্বাধীনতা ও দেশের ইতিহাস সবসময় আমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে জাতীয় সংহতি ও অগ্রগতির জন্য মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে বিকাল ৩ টায় আবাসিক হল গুলোতে প্রীতি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সময় জার্নাল/এলআর