নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুয়াশায় ঢাকা ভোর। কুয়াশা ভেদ করে আসে নতুন সূর্য। বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের পর থেকেই লাখো মানুষের ঢল নামে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। ৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা-ভালোবাসার ফুলে ফুলে ভরে ওঠে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ।
যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পেয়েছি স্বাধীন দেশ, সেই শহীদদের স্মরণে শনিবার প্রথম প্রহরেই জেগে ওঠে স্মৃতিসৌধ এলাকা।
সকালে সূর্যদোয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল সালাম জানায়। শহীদদের স্মরণে বিউগল বাজানো হয় করুণ সুর। কিছুটা সময় নীরবে দাঁড়িয়ে জাতির বীর সন্তানদের স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
এরপর শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের নেতাদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও কূটনীতিকেরা স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার পর স্মৃতিসৌধ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এরপর শ্রদ্ধা জানাতে নামে মানুষের ঢল। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রমজীবী ও পেশাজীবী সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাপুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) থেকে হুইল চেয়ারে প্রায় ২০ জন স্মৃতিসৌধে আসেন শ্রদ্ধা জানাতে।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে শীতকে উপেক্ষা করে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে অনেক শিশু ও বয়বৃদ্ধ ছিল। শ্রদ্ধা জানাতে আসা অনেকের কপালে লাল-সবুজ রঙে আঁকা জাতীয় পতাকা, হাতে উড়ছে জাতীয় পতাকা। পোশাকে লাল-সবুজের সরব উপস্থিতি। আবার অনেকের হাতে শোভা পাচ্ছে ব্যানার। কণ্ঠে দেশের গান।
বিজয় দিবসে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন জন্য আসায় স্মৃতিসৌধ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর