স্পোর্টস ডেস্ক:
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গত বছর একটি টেস্ট জিতলেও তাদের বিপক্ষে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কোনো ম্যাচ জেতেনি বাংলাদেশ। অথচ গত ১৬ বছর ধরে নিয়মিত বিরতিতে দেশটিতে সফর করে যাচ্ছে টাইগাররা। এবার কি পাল্টাবে সেই ধারাবাহিক ব্যর্থতার ইতিহাস? ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগের দিন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠে শোনা গেল আত্মবিশ্বাসের সুর।
আগামীকাল রোববার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ডানেডিনে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায়। ওয়ানডে সিরিজ শেষে সমানসংখ্যক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পরস্পরকে মোকাবিলা করবে দুই দল।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজে নিউজিল্যান্ডের ডেরায় ১৫ ওয়ানডের সবকটিতে হারের তেতো স্বাদ মিলেছে বাংলাদেশের। ২০১৫ বিশ্বকাপে মুখোমুখি সাক্ষাতেও ঘরের মাঠে জয়ী হয়েছিল কিউইরা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ১৬ ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশের ঝুলি শূন্য। টি-টোয়েন্টিতেও একই বেহাল দশা লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। তাসমান সাগর পাড়ের দ্বীপদেশটিতে স্বাগতিক দলের বিপরীতে নয়বার মাঠে নেমে প্রতিবারই জুটেছে পরাস্ত হওয়ার দুঃসহ অভিজ্ঞতা।
সাদা বলের দুই সংস্করণে নিউজিল্যান্ডকে তাদের আঙিনায় হারানোর আনন্দ জানা নেই বাংলাদেশের। এই দফার সফরে সেই পরিসংখ্যান বদলে দিতে আশাবাদী শান্ত। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'এর আগে যতবারই (নিউজিল্যান্ডে) এসেছে (বাংলাদেশের) কোনো দল, তারা (এখানে সাদা বলের কোনো ম্যাচে জয়লাভ) করতে পারেনি। তবে কোনো না কোনো দলকে তো করতে হবে। আমার মনে হয়, এই দলটার সেই সামর্থ্য আছে। সবাই বিশ্বাস করে যে এই বছর আমাদের ভিন্ন ফল হবে।'
নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া ভিন্ন হলেও সেটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে রাজী হননি বাংলাদেশের দলনেতা শান্ত। গত ছয় বছরের মধ্যে এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো সেখানে খেলছেন তারা। তাই কন্ডিশন মোটেও অচেনা নয়, 'কন্ডিশন তো একটু ঠাণ্ডা। তবে আমার মনে হয়, এই অজুহাত আমরা কেউই দিতে চাই না। কারণ এর আগেও এখানে আমরা এসেছি। তো এই সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে। আশা করছি, কালকে খুব বেশি সমস্যা হবে না।'
এমআই