আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ১০০ জন। এর আগেও ওই শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আশেপাশের বেশ কিছু বাড়ি-ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, জাবালিয়ার একটি মেডিকেল ভবনে হামলার ঘটনায় নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে।
আহতদের মধ্যে অনেকেই মেঝেতে পড়ে ছিলেন। তাদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১১টিতে এখন কোনো রকমে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে গাজায় অভিযান চালানোর সময় ভুল করে তিন জিম্মিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই ঘটনা সামনে আসতেই তেল আবিবে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর হাতে জিম্মি থাকা ওই তিনজনকে দূর থেকে হুমকি ভেবে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই মৃত্যুকে অসহনীয় ট্র্যাজেডি বলে অভিহিত করেছেন। যদিও এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিহতদের পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা বলেছে, এই ঘটনা ‘সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে’ তদন্ত করা হবে।
ইসরায়েলের ‘ভুল করে’ হত্যা করা তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে যখন গুলি করা হয়, তখন তাদের হাতে শান্তির প্রতীক সাদা পতাকা ছিল। প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন এক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা।
তিনি বলেছেন, ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, সেখানে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছিল। ওই এলাকায় হামাস সদস্যরা বেসামরিক নাগরিকের ছদ্মবেশ ধারণ এবং নানা ধরনের ‘প্রতারণামূলক কৌশল’ অবলম্বন করে থাকে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
ঘটনার বর্ণনায় ওই কর্মকর্তা বলেন, এক ইসরায়েলি সেনা তাদের কাছ থেকে কয়েক মিটার দূরে জিম্মিদের উঠে আসতে দেখেন। তারা সবাই খালি গায়ে এবং সাদা কাপড় বাঁধা একটি কাঠি হাতে ছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে, ওই তিনজন হয় তাদের অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এসেছিল অথবা তাদের ফেলে যাওয়া হয়েছিল।
সময় জার্নাল/এলআর