আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস একতরফাভাবে কয়েকজন বন্দীকে মুক্তি দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তা দেবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী যদি নির্ধারিত স্থানে পিছিয়ে যায়।
মিসরীয় দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে যে হামাস জোর দিয়ে বলছে, তারা একতরফাভাবে কয়েকজন বন্দীকে মুক্তি দেবে।
তবে তার আগে ইসরাইলি সৈন্যদের পূর্ব নির্ধারিত স্থানে সরে যেতে হবে। সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরাইল এই শর্ত গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। ইসরাইল জানিয়েছে, কোন কোন বন্দীকে মুক্তি দেয়া হবে, তা যুদ্ধবিরতির আগেই জানাতে হবে।
আগের যুদ্ধবিরতির সময় হামাস ১০৫ বন্দীকে মুক্তি দিয়েছিল। সাত দিনের ওই যুদ্ধবিরতির সময় হামাসের হাতে বন্দী প্রতি একজন বন্দীর বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে আটক ৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে হামাস বেশ কয়েকজন রুশ, থাই ও ফিলিপাইনের বন্দীকে একতরফাভাবে মুক্তি দিয়েছে।
তবে এবার পুরুষ বন্দীদের মুক্তির ব্যবস্থা হতে পারে। তবে হামাস ৩:১ নয়, বরং আরো বেশ ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি দাবি করতে পারে হামাস।
অবশ্য ইসরাইল বলছে যে হামাসের হাতে এখনো অন্তত ১০ নারী বন্দী রয়েছে। আর অন্তত দুটি শিশু রয়েছে। ইসরাইল তাদের মুক্তি দাবি করছে।
হামাস এবং গাজার বিভিন্ন গ্রুপের হাতে এখনো প্রায় ১২৮ বন্দী রয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে হামাস এবং অন্যান্য গ্রুপ প্রায় ২৪০ জনকে বন্দী করেছিল। এদের মধ্যে ইসরাইলি হামলায় কয়েকজন নিহতও হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর