মো. জাহিদুল হক,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী অলয় দাস। চট্টগ্রাম নগরীর গোলপাহাড় এলাকায় টিউশনি করাতেন। ছয় মাস আগের জমে থাকা তিন মাসের বেতন চেয়ে হুমকি ধামকি ও হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযুক্ত অভিভাবক ছাত্রের বাবা উজ্জ্বল কান্তি দেব।
গত শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উজ্জ্বল কান্তি দেবের বাসায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগকারী অলয় দাস জানান, আমি ইংলিশ ভার্সনের একজন ছাত্র কে পড়াতাম, টিউশনি ছেড়ে দেওয়ার দুই মাস পর বেতনের পুরো টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও ২১ হাজার টাকা থেকে মাত্র ১০ হাজার টাকা দেন। বাকি টাকা রেখে দেন। বারবার চাওয়ার পরেও স্টুডেন্টের বাবা উজ্জ্বল কান্তি দেব টাকা দিবেন না বলে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেন। পরবর্তীতে ফোনে না পেয়ে গতকাল (শনিবার) আমি তার বাসায় গেলে আমাকে 'আমি গোলপাহাড় মোড়ের ক্যাডার' বলে ভয় দেখায় ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমি প্রতিবাদ করতে গেলে এক পর্যায়ে চেয়ার দিয়ে মাথায় ও হাতে আঘাত করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত অভিভাবক উজ্জ্বল কান্তি দেবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায় নি। পরবর্তীতে অভিযুক্তের স্ত্রী মুঠোফোনে জানান বিষয়টি আমাদের ভুল ও না বুঝার কারণে হয়ে গেছে এজন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি এবং অলয়ের পাওনা টাকা দ্রুত পরিশোধ করে দিব ।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি একজন গৃহশিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হিসেবে এমন আচরন এবং এই হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই। থানায় সাধারণ ডায়রি করেছি এর পাশাপাশি মৌখিক ভাবে চবি প্রক্টরিয়াল বডি কে জানিয়েছি।
উল্লেখ্য যে, অভিযুক্ত উজ্জ্বল কান্তি দেব ও তার স্ত্রী ২০১১ এবং ২০১৩ সালে ভুয়া ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে সাব্যস্ত হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড ভোগ করেন। সমাজবিজ্ঞানে পড়ে নামের আগে ডাক্তার, ফিজিওথেরাপিস্ট, বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে অর্জিত বিভিন্ন ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করতেন তিনি। বেশ কয়েক বার গোলপাহাড় মোড়ে উজ্জ্বল কান্তি দেব পরিচালিত হাটহাজারী ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার কে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
সময় জার্নাল/এলআর