আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রাগের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরো ২৫ জন। নিহতদের মধ্যে বন্দুকধারীও রয়েছে। আধুনিক চেক প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী আক্রমণ।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৪ বছর বয়স্ক বন্দুকধারীকে হত্যা করা হয়েছে। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, সে আত্মহত্যা করেছে। সে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলেও জানা গেছে। তার বাড়ি প্রাগের বাইরে ২১ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে। তার বাবাকেও বৃহস্পতিবার মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি। বন্দুকধারীর নামও পুলিশ প্রকাশ করেনি।
চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন, স্থাপত্য, শিল্পকলা বিভাগ এলাকায় ওই হামলা হয়। চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে কেন চলল গুলি, তা এখনো বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা নাগাদ ওই ঘটনা হয়েছে। পুলিশ গুলি চালানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ প্রাগ পুলিশ লিখেছে, ‘আততায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। ওই বহুতলটি এখন খালি করা হয়েছে। বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু জন আহত।’
আততায়ীর মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিট রাকুসন। তিনি জানিয়েছেন, অন্য কোনও বন্দুকবাজ ঘটনাস্থলে ছিলেন না। ফলে আর কোনো আশঙ্কা নেই। নাগরিকদের সহযোগিতা করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গুলি চালানোর পরেই ওই জান পালাখ স্কোয়্যারে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে বন্ধ করা হয়েছে। সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। আশপাশের রাস্তা থেকেও মানুষজনকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। স্থানীয়দের আপাতত ঘর থেকে বার হতে বারণ করা হয়েছে।
প্রাগের মেয়র বহুস্লাভ এসভোবোদা জানিয়েছেন, চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ যে বহুতলে রয়েছে, সেটি খালি করতে বলা হয়েছে। প্রাগের উদ্ধারকারী পরিষেবার মুখপাত্র জানা পোস্তোভা জানিয়েছেন, অনেকে আহত হয়েছেন। তবে সেই নিয়ে কোনো তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, বন্দুকবাজ একটি বহুতলের বারান্দায় বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ছুড়ছে গুলি। আতঙ্কে রাস্তায় ছুটাছুটি করছে লোকজন। অনেকে আবার ভয়ে বহুতলের কার্নিশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর