সময় জার্নাল ডেস্ক:
২০২৩ সালে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। পাশাপাশি ২০২৪ সালেও একই পরিমাণ রেমিট্যান্স পাবে বাংলাদেশ।
বিশ্বব্যাংকের সবশেষ মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। মূলত সাম্প্রতিক ব্যালান্স অব পেমেন্ট সংকটের কারণে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এতে আরো বলা হয়, বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে ২০২৪ সাল শেষে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। ২০২৪ সালে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি সীমাবদ্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ১৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাবে। ২০২২ সালে যার পরিমাণ ছিল ১৭৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থের হিসাবে রেমিট্যান্স বাড়লেও প্রবৃদ্ধি ১২.২ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াবে ৭.২ শতাংশে।
আর ২০২৪ সালে অর্থাৎ নতুন বছরে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো রেমিট্যান্স পাবে ১৯৮ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি ৭.২ শতাংশ থেকে কমে দাড়াবে ৪.৯ শতাংশে। তারপরও ২০২৪ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাবে দক্ষিণ এশিয়া।
এছাড়া বিশ্বে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ ১০ রেমিট্যান্স প্রাপ্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান হবে ৭ম। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয়। ১২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স নিয়ে দক্ষিণ এশিয়া তথা বিশ্বে প্রথম অবস্থানে থাকবে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান পেতে পারে ২৪ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্বব্যাংক জানায়, মুদ্রার অবমূল্যায়ন এবং বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা নীতির কারণে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার প্রবাসীরা কালোবাজারের সুবিধা নিতে এবং অনানুষ্ঠানিক ও আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করতে উৎসাহিত হচ্ছে। ২০২৪ সালে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি সীমাবদ্ধ হতে পারে।
এর আগে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে গত ২২ অক্টোবর থেকে বৈধ চ্যানেলে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় দেশে পাঠালে প্রতি ১০০ টাকায় প্রণোদনার সঙ্গে প্রবাসীদের বাড়তি আরও আড়াই শতাংশ বেশি অর্থ দেয়ার নির্দেশনা কার্যকর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারের দেয়া আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও আড়াই শতাংশ অর্থ বেশি দিয়ে রেমিট্যান্স কিনতে পারছে ব্যাংকগুলো।
সময় জার্নাল/এলআর