নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের শান্তিপূর্ণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপি কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে যারা বিঘ্ন সৃষ্টি করবে তাদেরকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ করা এটা তো আমেরিকারই বহুল প্রচারিত ঘোষণা। আইআরআই এবং এনডিআরের পাঁচ জন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশে আছে। আমরা এ ব্যাপারে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থী অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী কারোই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো অধিকার নেই। নির্বাচন বিরোধী সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা আমরা সমর্থন করি না। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে আমরা সেটাকেই সমর্থন করব। একইসঙ্গে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে সংঘাতের আশঙ্কা সব সময়ই থাকে। আমাদের এ অঞ্চলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ বিষয়টা সবসময়ই থাকে। তবে আমি বড় ধরনের কোনো সংঘাত হওয়ার আশঙ্কা দেখছি না। তবে আওয়ামী লীগের নামে যারা নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচনী ইশতেহার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সময়মতো আমরা নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করব। সেখানে দেশি-বিদেশী অনেককেই আমন্ত্রণ জানাব। তবে যারা নির্বাচন বর্জন করেছে, তাদের কেন আমন্ত্রণ জানাব? তারা তো সে অধিকার হারিয়েছে। তবে নির্বাচনের পক্ষে যারা আছেন, তারা আমন্ত্রণ পাবেন।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে বিএনপির খাস দালাল উল্লেখ করে তিনি বলেন, রুহুল কবির রিজভী যা বলেন, তিনিও তাই বলেন।
১৫ বছরে ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে দাবি করেছে সিপিডি। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সিপিডি যেহেতু অনিয়মের অভিযোগ এনেছে, তাদেরই বলতে হবে সেই টাকাগুলো কোথায় আছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
আরইউ