কবি নজরুল সরকারি কলেজ প্রতিনিধি:
কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আংশিক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৮ নভেম্বর। এক বছর শেষ হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়েছে শাখা ছাত্রলীগ। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে কলেজের একমাত্র ছাত্রাবাস শহীদ শামসুল আলম হল ও বিভাগগুলোতে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি না থাকায় কলেজে ক্রমশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক পরিস্থিতির অবনতি দেখা দিয়েছে। এক বছরেও কমিটি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। গড়িমসি না করে কর্মীদের নেতৃত্বের পথ সুগম করতে এবং নির্বাচনে যেন তারা তাদের সংগঠনের পরিচয় দিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে পারে সেটি বিবেচনা করে অতি দ্রুত কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার দাবি জানিয়েছেন পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ কর্মীরা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, ওয়াসিম ভাই ও ফারুক ভাইকে যখন কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের দায়িত্ব দেওয়া হয় তখন আমরা উচ্ছ্বসিত ছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম তারা অতিদ্রুত আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে দেবেন। তবে তারা উদ্যোগ নিয়েছিলেন কিন্তু ওয়াসিম ভাইয়ের মৃত্যুর পর সেই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। সাগর ভাই বা ফারুক ভাই কেউই উদ্যোগ নিয়ে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেন নাই। দেখতে দেখতে তাদেরই মেয়াদ শেষ।
কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগর বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার চেষ্টা করছি। আশা রাখি নির্বাচনের পর কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হবে। কমিটিতে ত্যাগী ও পরিশ্রমীদের মূল্যায়ন করা হবে।
এ বিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদার বলেন,আমাদের পূর্বের সভাপতি ওয়াসিম রানা মারা যাওয়ার ফলে আমাদের সকল সাংগঠনিক পরিকল্পনা নতুন ভাবে করতে হয়েছে। নতুন সভাপতি দায়িত্ব নিয়েছে অল্প কিছুদিন। কিন্তু আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য। তবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা সম্ভব না।
গত বছরের ৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। রানা মারা যাওয়ার পর তার স্থলে বেলায়েত হোসেন সাগর সভাপতির দায়িত্ব পান। তবে বর্তমানে কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলন না হলে কমিটি বিলুপ্ত করার কথা উল্লেখ রয়েছে। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে ধারা ৯ উপজেলা শাখা ও ধারা ১০ জেলা শাখা থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জেলা শাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো উপজেলা শাখার সমমর্যাদা পাবে। ধারা ১০ অনুযায়ী জেলা শাখার মেয়াদকাল হবে এক বছর। জেলা শাখাকে এক বছরের মধ্যে নির্বাচিত নেতাদের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে। বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুমোদনক্রমে ৯০ দিন সময় বৃদ্ধি করা যাবে। এই সময়ের মধ্যে সম্মেলন না হলে কমিটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে।
এমআই