আদালত প্রতিনিধি:
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের দুর্নীতি মামলার রায় আজ ঘোষণা করবেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর ও ১২ ডিসেম্বর রায়ের জন্য থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আজ রায়ের জন্য ধার্য করেন আদালত।
মির্জা আব্বাস কারাগারে আটক আছেন। রায় ঘোষণাকালে তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হবে। গত ৩১ অক্টোবর রাতে এ মামলায় রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসা থেকে গ্রেফতার হন মির্জা আব্বাস।
মামলা প্রমাণিত হয়নি দাবি করে রায়ে বেকসুর খালাস পাবেন বলে আশা মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরীর।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি দুদক অভিযোগ সন্দেহাতীভাবে প্রমাণ করতে পারে নাই। আমরা আসামিপক্ষ থেকে সাফাই সাক্ষ্য দিয়ে প্রমাণ করেছি অভিযোগ মিথ্যা। আশা করি আদালতে ন্যায় বিচার পাব।
অন্যদিকে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা মনে করি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। আমরা আসামির সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি।
মির্জা আব্বাস ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন। মামলায় বলা হয় ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তিনি আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপ-পরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা তদন্ত শেষে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৮; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়।
সময় জার্নাল/এলআর