নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষা কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন জাতি গড়তে করণীয় সবই সরকার করে দিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট জনশক্তি।’
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও নানান প্রতিকূলতায় তা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের একটা স্বপ্ন ছিল যে শিক্ষক হবো। সেটাও আবার প্রাইমারি স্কুলের। আমি তাই হতে চেয়েছিলাম। ওটা আমার খুব পছন্দের ছিল। কিন্তু আর হলো না।’
কেন স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কারণ আমার বাবা সারাজীবন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গেছেন। এ বাংলাদেশের মানুষের কথা বললেই তখনকার সরকার তাকে গ্রেফতার করতো, জেলে নিয়ে যেতো। বারবার আমাদের পড়াশোনায়ও বাধাগ্রস্ত হতো। তারপরও চেষ্টা করতাম। তবে পড়াশোনা শেষপর্যন্ত আর শেষই করতে পারিনি।’
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। এ সময় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইবতেদায়ি, দাখিল ও কারিগরি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন তিনি।
আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্যমুক্ত দেশ গড়তে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে শিক্ষার বিস্তার করে দিয়েছে সরকার। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
আগামীকাল সোমবার বছরের প্রথম দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে কেন্দ্রীয় পাঠ্যবই উৎসব উদযাপন করবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কারিগরি, মাদরাসাসহ বিভিন্ন স্তরে ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
এমআই