জেলা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধায় চলতি বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, প্রতিদিনই গাইবান্ধার তাপমাত্রা কমে আসছে। আজ চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা আগেও জেলার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা। জেলা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ক্লিনিকগুলোতে শীতজনিত রোগ নিয়ে শিশু ও বয়স্ক রোগীরা আসতে শুরু করেছে। এদের মধ্যে মধ্যে সর্দি-কাশি, জ্বর ও অ্যাজমায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
অপরদিকে হিমেল হাওয়া ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়ছেন খামারিসহ প্রান্তিক কৃষকরা। গবাদিপশুগুলোকে পুরনো কাঁথা-কম্বল, বস্তা দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তবে সব থেকে বেশি সমস্যায় রয়েছে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলের গবাদিপশুগুলো।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তালুক বেলকা গ্রামের মো. জিয়াউর রহমান সরকার রয়েল বলেন, কয়েকদিন তেমন শীত ছিল না। গতকাল থেকে আবার হিমেল হাওয়া আর শীত শুরু হয়েছে। পৌষের মাঝামাঝি সময়ে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডাতে কাহিল জনজীবন।
তারাপুর ইউনিয়নের খোর্দা গ্রামের আব্দুর রহিম মণ্ডল বলেন, শীতে অবস্থা খুব কাহিল। এরকম ঠাণ্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষগুলোর খুব সমস্যা। এমনিতেই অসুখে চলতে পারি না।
হরিপুর ইউনিয়নের চরিতাবাড়ী গ্রামের আমজাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, তিনদিন থেকে খুব ঠান্ডা ও কুয়াশা। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। আমাদের চরে তো সবসময় বাতাস থাকে তাই খুব ঠান্ডা। বাড়ি থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। গতকালও সারাদিন কুয়াশায় ঢাকা ছিল আমাদের এলাকা। আজ কুয়াশা আরও বেশি।
কৃষক বাবলু মিয়া বলেন, প্রচণ্ড শীত সেই সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাসে গরু-ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে শীতের হাত থেকে বাঁচতে গরুর গায়ে চট দিয়েছি।
বেলকা নবাবগঞ্জ গ্রামের আজিম উদ্দিন বলেন, শীতে মানুষের যেমন কষ্ট হয় তার থেকে বেশি কষ্ট হয়েছে গরু বাছুরের। আমরা তো ঠাণ্ডা লাগলে বলতে পারি কিন্তু ওরা তো বলতে পারে না। তাই ছালার চট তাদের গায়ে দিয়েছি।
সময় জার্নাল/এলআর