গোলাম আজম খান, কক্সবাজার: সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের হ্নীলা জাদিমুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেথামফিটামিন মাদক ‘আইস’ বা ‘ক্রিস্টাল মেথ’সহ ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফের বিশেষ জোনের সদস্যরা বুধবার দুপুরে এ অভিযান চালায়।
গ্রেপ্তাকৃতব্যক্তির নাম মো. আব্দুল্লাহ। সে ওই এলাকার গোলাম নবীর ছেলে। তার কাছ থেকে দুই কেজি ‘আইস’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফের বিশেষ জোনের ইন্সপেক্টর জিল্লুর রহমান বৃহস্পতিবার সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, বেশ কিছু দিন ধরে মিয়ানমার থেকে শক্তিশালী মাদক আইস বা ‘ক্রিস্টাল মেথ’-এর চালান বাংলাদেশে পাচার হয়ে আসছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে সম্ভাব্য স্থানে গোপনে নজর রাখা হচ্ছিল।
বুধবার দুপুরে জাদিমুড়া এলাকায় দুই সহোদরের বাড়িতে আইসের চালান মজুদ রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফার নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুই কেজি আইস উদ্ধার করা হয় গ্রেফতার করা হয় মো. আব্দুল্লাহকে।
উক্ত মাদকের চালান ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে নিশ্চিত হন উদ্ধার মাদক শক্তিশালী আইস, যা ভয়ংঙ্কর মাদক ইয়াবার চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী বলে জানান তিনি।
মুলত 'আইস' মেথামফিটামিন জাতীয় মাদক। অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও চীনে এর ব্যবহার বেশি। সেবু, ক্রিস্টাল মেথ কিংবা ডি মেথ নামেও এ মাদক পরিচিত। দীর্ঘদিন এটি ব্যবহার করলে হৃদরোগ, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি এবং ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
“১০ গ্রাম আইসের দাম ১ লাখ টাকা। এটি স্নায়ুকে উত্তেজিত করে বহুগুণ। ধূমপানের মাধ্যমে, ইনজেক্ট করে বা ট্যাবলেট হিসেবে এটা নেওয়া যায়। বিদেশ থেকে উচ্চবিত্তদের জন্য এই ড্রাগ আনা হয়েছে। প্রতিবার আইস নিতে হলে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়।”
ইন্সপেক্টর জিল্লুর রহমান বলেন, “গ্রেপ্তার হওয়া মো. আব্দুল্লাহ জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের টার্গেট করে তারা এদেশের বাজার ধরতে মিয়ানমার থেকে এই ভয়ংকর মাদক পাচার করেছে।
এটি ইতোমধ্যে দেশে উদ্ধার হওয়া আইসের সবচেয়ে বড় চালান। যার আনুমানিক মূল্য তিন কোটি টাকার মতো বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, এর আগে ঢাকায় ৬০০ গ্রাম আইস উদ্ধার করা হয়েছিল। আটক করা হয়েছিল বেশ কয়েকজনকে।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত যুবককে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করে মাদক আইনে মামলা রুজু করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সময় জার্নাল/এমআই