সাইদ আহম্মদ, বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা:
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অধিকতর উন্নয়নের লক্ষে গ্রিনহাউস তৈরির উদ্যোগ নেয়া হলেও দুই বছরেও শেষ হয়নি তার নির্মাণ কাজ। প্রশ্ন উঠেছে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি মান নিয়েও।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেকৃবির অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রিনহাউজ তৈরির কাজ দেওয়া হয় একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে। ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটিকে। সে সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হলে সময় বাড়িয়ে সেটি ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। বর্ধিত সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে প্রশ্ন উঠেছে গ্রীন হাউসের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির মান নিয়েও। বাদ দেওয়া হয় অপ্রয়োজনীয় এবং টেন্ডারের ডাবল যন্ত্রপাতি। পরে রিভাইস টেন্ডারে ব্যয় ঠিক করা হয় ১০ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত যাচ্ছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ আছে, নির্মাণকারী ঠিকাদান প্রতিষ্ঠানের গ্রীন হাউজ তৈরির নেই কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা। নেই সব যন্ত্রপাতি পরিচালনার ম্যানুয়াল।
গ্রীনহাউস নির্মাণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য বলেন, যে স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ীটি হওয়ার কথা ছিল সে অনুযায়ী হয়নি। পলি কার্বনেড শেডটিও মানসম্মত নয়। অপারেটিং সিস্টেমও ভালোভাবে দেখাতে পারছে না। কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে এরকম সমস্যা হতো না।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ার বিষয় জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুল হক কাজল বলেন, ডলার সংকট, রাশিয়া ইউক্রেন সংকটের কারণে যন্ত্রপাতি আসতে দেরি হয়েছে। আশা করি আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমরা এটি চালু করতে পারব।
অভিজ্ঞতার বিষয়ে জানতে চাইলে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির প্রধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড.অলক কুমার পাল বলেন,
যারা কাজটি পেয়েছে তারা এ সংশ্লিষ্ট কাজ করেছে। পাঁচটির বেশি কোম্পানি টেন্ডার দিয়েছিল। যারা কাজটি পেয়েছে, তারা তাদের মধ্যে এগিয়ে ছিলো। নিয়ম অনুযায়ী তাদের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে।
গ্রীন হাউসের মানের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। আমরা মানসম্মত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
এমআই