নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি তাদের নেতাকর্মীরা হতাশায় ভুগছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভেবেছিল ক্ষমতায় চলে যাবে, ২০টি সিট পেয়েছি। আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি সিটে জয়ী হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি ওই সময় প্রত্যাখ্যান করেছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তারা এবারের নির্বাচন হতেই দেবে না। অনেক মুরুব্বি মনে করেছিল নির্বাচন হবে না। ২০১৩ সালের মতো নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেও পারে নি। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন হতাশায় ভুগছেন।
মানুষের ক্ষতি করলে পরে মানুষ তাদের প্রত্যাখান করে। ২৮ অক্টোবরের পর পুলিশ মারা, মানুষকে মারার কারণে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এবার বিএনপি ভয়াল রূপ বেরিয়েছে, আসল রূপ বেরিয়েছে। ফলে মানুষ এ রূপ দেখে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নির্বাচন হয়েছে। এখন সরকার গঠন হবে, সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন।
এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃ্খলা বাহিনী ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তারা রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। জনগণ তাদেরকে সহযোগিতা করেছে। চমৎকার নির্বাচনের উপহার দিয়েছে তারা।বাংলাদেশের ইতিহাসে এই নির্বাচন স্বর্ণাক্ষারে লেখা থাকবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘কেউ দাবায় রাখতে পারবা না’। ৭ জানুয়ারি আবারও মানুষ প্রমাণ করেছে ‘কেউ দাবায় রাখতে পারবে না’। একটা দল নির্বাচনে আসেনি, তার সমর্থিতরাও আসেনি।
নির্বাচনের বানচালের অনেক চেষ্টা করেছে। মানুষ হত্যা, ট্রেনে আগুন দেওয়া, ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন বানচাল করতে পারেনি। ৭৫ সালের পর দেশে যত নির্বাচন হয়েছে, এবারের নির্বাচন সবচেয়ে ভালো হয়েছে। সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হয়েছে। এজন্য সবার আগে আমি দেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানাই। জনগণের অংশগ্রহণে ভালো নির্বাচন হয়েছে। দুইটা-চারটা দল না আসলে কিছু যায় আসে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য শেখ হাসিনা বলেন, যখন চক্রন্ত চলছিল নির্বাচন হবে না। তখন কিন্তু আমরা বিকল্প পথে নির্বাচন ওপেন করে দিয়েছি। স্বতন্ত্ররা নির্বাচন করতে চাইলে তাদেরও উন্মুক্ত করে দিয়েছি। অনেককে মনোনয়ন দিয়েছি, এরমধ্যে কেউ জিততে পারেনি, আশা করেছিলাম জিতবে কিন্তু পারেনি। স্বতন্ত্ররা নির্বাচন করেছে।
বার যেহেতু জনগণ ভোট দিয়েছে। জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। কারো বিরুদ্ধে কোনে ক্ষোভ নেই। এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ধরে রাখতে হবে। জনগণের প্রতি আস্থা রাখতে হবে, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে। নির্বাচন নিয়ে যারা বড় খেলা খেলতে চেয়েছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে।
সুতরাং আপনারা একটু গণ্ডগোল করলে তারা এখানে সুযোগ নেবে। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এখানে এসেছি। সুতরাং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবেন। আমি যেন কোন বিশৃঙ্খলা দেখতে না পাই।
সময় জার্নাল/এলআর