নিজস্ব প্রতিনিধি:
পৌষের শেষে সারাদেশ যখন তীব্র শীতে কাঁপছে, তখন সুখবর দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী দুই রাতে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে শীতের তীব্রতা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
গত দুদিনের মতো রোববারও দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল ঘন কুয়াশায় ঢাকা। দিনের বেশিরভাগ সময়ই দেখা মিলছে না সূর্যের। গত দুদিন ধরে ঢাকায় রোদের দেখা মিলছে না। শীতে জবুথবু নগরবাসীও।
তাপমাত্রা খুব বেশি না কমলেও ঘন কুয়াশার কারণে রোদ না ওঠায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান কমে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। কাল থেকে হয়তো কুয়াশার দাপট কমতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনাজপুরে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, রোববার রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
রোববার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এসময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দেশের অনেক জায়গায় দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।
হাফিজুর রহমান বলেন, সোমবার সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। মঙ্গলবার সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দেশের অনেক জায়গায় দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলেও জানান তিনি।
পরবর্তী পাঁচদিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
সময় জার্নাল/এলআর