মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরসহ উত্তাঞ্চলে গত ৭ দিনধরে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় কনকনে ও হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু, কুকুর-বিড়ালসহ অন্যান্য পশুপাখিগুলোও কাহিল হয়ে পরেছে।
এদিকে কনকনে শীতে হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজণিত রোগি সংখ্যা বেড়েছে। দিনে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও রাতে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, রবিবার (১৪ জানুয়ারী-২০২৪) দিনাজপুরে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী আরো ২/১ দিন এই তাপমাত্রা থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
দিনাজপুরে হাড় কাঁপানো ও কনকনে শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুসহ অন্যান্য প্রাণিকুলও কাহিল হয়ে পড়েছে। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শৈত্যপ্রাবাহের কারণে শীতে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। সন্ধ্যার পর পর লোকজন বাড়ীতে ফিরে আসছে। কাজকর্ম করতে না পারায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষগুলো সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগে পড়েছেন।
গত ৪ দিনধরে বৃষ্টিরমত ঘন কুয়াশায় রাস্তা-ঘাট আছন্ন থাকছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকার ১০টা পর্যন্ত ঘনকুয়াশা থাকায় যানবাহনগুলো ধীর গতিতে চলাচল করছে। সকালেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হয়। গত ৬ দিন থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। তবে মাঝে দুইদিন বিকেলে সামান্য সময়ের জন্য সূর্য উঁকি দিলে মুহুর্তেই আবার হারিয়ে যায়। ঘনকুয়াশার কারণে যানবাহনের গতি কম থাকায় গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়।
এদিকে দিনাজপুরে শীত অব্যাহত থাকায় গরম কাপড়ের দোনানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষগুলো শহরের কাচারী বাজারসহ বিভিন্ন ফুটপাতের দোকানে ভিড় করছেন। এতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে বিক্রি বেড়েছে। তবে এই সুযোগে দোকানীরা শীতবস্ত্রের কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশিষ রায় জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত দিনাজপুর জেলার শীতার্ত মানুষের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ৬৫ হাজার পিস শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে। শীতার্ত মানুষের শীত লাঘবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আগামীতে আরো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সময় জার্নাল/এলআর