মো. নিজাম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুরে প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহাজাহান কামালের জেলা শহরের বাসভবনের সামনে অবস্থিত ১১ টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
শনিবার (২৯ মে) সকালে পৌর শহরের চকবাজার এলাকার এসব দোকান খাস খতিয়ান ভুক্ত সম্পত্তিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে বুলডেজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
তবে ব্যবসায়ীদের দাবী, জেলা পরিষদ থেকে ইজাড়া নিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছিলেন তারা। কোন প্রকার পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ক্ষতিগ্রস্থরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমে কোন কথা বলতে রাজি হননি উচ্ছেদ অভিযানে অংশ
নেয়া প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা।
ঘটনার সময় সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা শহরে অবস্থিত স্থানীয় এমপি শাহাজাহান কামালের বাসভবন ও মার্কেটের সামনে শহরের মেইন সড়কে বিপুল সংখ্যক র্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্য এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তাসহ পোশাক পরিহিত কয়েকজন কর্মী, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মামনুর রশিদ অবস্থান নেন।
এসময় প্রায় তিনঘন্টাব্যাপী বেকু ও বুলডেজার দিয়ে ১১ টি দোকান উচ্ছেদ করে তারা।
এসময় ক্ষতিগ্রস্থ দোকানীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকে রাস্তায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কেউ কেউ অভিযোগ করেন স্থানীয় এমপি’র বাসভবন ও মার্কেটের
সামনের রাস্তা পরিস্কার করতে এ অভিযান চালানো হয়। কারণ উচ্ছেদকৃত দোকানঘরের পেছনে রয়েছে লক্ষ্মীপুরে-৩ (সদর) আসনের এমপির ৫ তলা বিশিষ্ট বাসভবন।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে জেলা পরিষদ থেকে ইজাড়া নিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছিলেন তারা। হঠাৎ ২০১৭ সালের দিকে সড়ক প্রশস্থ করণের নামে তাদের ইজাড়া নবায়ন বন্ধ করে দেয় জেলা পরিষদ। এর পর গত ২৭ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের নোটিশ পান তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উচ্ছেদ অভিযানে আসা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা গণমাধ্যমে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মুঠোফোনে জানান, রাস্তা প্রশস্থ করণের দাবির প্রেক্ষিতে জনস্বার্থে ৪ শতাংশ জমি জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের আবেদন গ্রহণ করে জেলা পরিষদ। রাস্তা ছাড়া বাকি সম্পদ জেলা পরিষদেরই মালিকানাধীন
থাকবে জানান তিনি।
সময় জার্নাল/এমআই