স্পোর্টস ডেস্ক:
আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের দশম আসরকে দেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক ইভেন্টে ভেবেই খেলতে নামবে ক্রিকেটাররা।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং নতুন নামকরণ হওয়া দুর্দান্ত ঢাকার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে বিপিএল। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে।
দিনের অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হবে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে। দু’টি ম্যাচই হবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এবারের মৌসুমে দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে মাঠ মাতাবেন পেসার শরিফুল ইসলাম। বিপিএল নিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিপিএল অনেক সাহায্য করবে। এটা আমাদের প্রধান টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। এখানে ভালো পারফর্ম করে সবার নজর কাড়তে চাই। আমি মনে করি, এই টুর্নামেন্টটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে আমাদের সহায়তা করবে।’
শুক্রবার বাদে সপ্তাহের অন্য দিনের প্রথম ম্যাচ দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে এবং দ্বিতীয়টি সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে। শুক্রবারের প্রথম ম্যাচ দুপুর ২টায় এবং দ্বিতীয়টি সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে।
এবারের বিপিএলের শিরোপা লড়াইয়ে থাকা সাতটি দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, রংপুর রাইডার্স, দুর্দান্ত ঢাকা, খুলনা টাইগার্স, ফরচুন বরিশাল, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এবং সিলেট স্ট্রাইকার্স।
ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এবং সিলেটের সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪৩ দিনে মোট ৪৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
বিপিএলে নতুন দল না হলেও এবার নতুন মালিকানার অধীনে খেলবে ঢাকা।
ঢাকার কোচ হিসেবে দায়িত্বে থাকা খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘যখন কেউ দল গড়ে তখন ওই দলের লক্ষ্য থাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। কিন্তু বাস্তবে আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ নকআউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। কখনো কখনো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ভাগ্যের প্রয়োজন হয়।’
আগেরবারের চেয়ে ধারাভাষ্যকে মনমুগ্ধকর করতে পাকিস্তানের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজাকে এনেছে আয়োজকরা। তারই স্বদেশী আমির সোহেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক কিংবদন্তি কোর্টলি অ্যামব্রোস, শ্রীলঙ্কার রাসেল আরনল্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এইচডি অ্যাকারম্যানের সাথে ধারাভাষ্যে থাকবেন সাবেক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজাও। তাদের সাথে স্থানীয় ধারাভাষ্যকাররাও থাকবেন।
এবার টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ডিআরএস সিস্টেম কার্যকর থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।
সময় জার্নাল/এলআর