নিজস্ব প্রতিবেদক:
একেবারে ভিন্ন এক পরিচয়ে হাজির হয়েছেন শাকিব খান। ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক সিনেমার রঙিন দুনিয়ার পাশাপাশি তিনি কর্পোরেট জগতেও সমান তালে হাঁটতে যাচ্ছেন।
আজ (২০ জানুয়ারি) শাকিব খান এমনটাই ঘোষণা দিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবির পরিচালকের দায়িত্ব নিলেন। এ প্রতিষ্ঠানটিতে বিশ্বমানের স্কিন কেয়ার, কসমেটিকস, টয়লেট্রিজ, হোম কেয়ার, পারফিউমসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাওয়া যাবে।
আন্তর্জাতিক এ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে আজ দুপুরে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল ওয়েস্টিনে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এখানেই শাকিব খানের তুন যাত্রার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ আয়োজনের মাধ্যমে শাকিব খানের নবযাত্রার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শাহরিয়ার আলম, আবুল বাশার হাওলাদার ও প্রধান নির্বাহী এমদাদুল হক সরকার প্রমুখ।
এসময় শাকিব খান বলেন, নকল ও ভেজাল পণ্য দিয়ে দেশের বাজার সয়লাব হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন চোরাকারবারিদের মাধ্যমে আসা এইসব মানহীন পণ্যসমূহ ব্যবহারের ফলে আমাদের স্কিন ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। পাশাপাশি দিনের পর দিন নকল পণ্যের পিছনে টাকা ব্যয় করে ভোক্তারা অর্থনৈতিক হয়রানিরও শিকার হচ্ছেন। ভেজাল পণ্যের করাল গ্রাস থেকে মানুষকে পরিত্রান দিতে, জনসাধারণের দুরবস্থার কথা চিন্তা করে, আমি, আপনাদের ভালোবাসার শাকিব খান, দেশের বাজারে রিমার্কের মাধ্যমে অথেনটিক কসমেটিকস প্রোডাক্ট নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
স্কিন আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অর্গান, এবং স্কিনের যত্নে, আমরা বিভিন্ন সময় নানান রং ফর্সাকারি ক্রিম ও অন্যান্য প্রসাধনী ব্যবহার করি। সেই পণ্যগুলো যদি হয় ভেজাল, তা আমাদের জন্য হয়ে দাঁড়ায় ভীষণ ক্ষতিকর। আমরা নিজ কারখানায় সর্বোচ্চ গুনগতমান বজায় রেখে পারফেক্ট স্কিন কেয়ার পণ্য উৎপাদন করে থাকি যা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীর মানুষ ব্যবহার করবে। রিমার্ক হবে বাংলাদেশের প্রথম মডেল ইন্ডাস্ট্রি যার মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নতুন ভাবে জায়গা করে নিবে। দেশের স্কিনকেয়ার ও কালার কসমেটিকস সেক্টরের সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রিমার্কের মাধ্যমে আমদানিনির্ভর কসমেটিকস খাত একটি রপ্তানিযোগ্য শিল্প খাতে রূপান্তরিত হচ্ছে। স্কিনকেয়ার ও কসমেটিকসের ৫০ এরও অধিক ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করছে রিমার্ক, যার মাঝে হারল্যান, সিওডিল, নিওর, লিলি, ব্লেইজ ও স্কিন ইতিমধ্যেই ভোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আমার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমি বেছে নিয়েছি দেশের সেরা রিটেইল কসমেটিকস চেইন চেইন হারল্যানকে। সারা দেশের সব ধরনের মানুষের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় পণ্য আরও সহজলভ্য করতেই দেশের বিভিন্ন স্থানে হারল্যানের নিত্যনতুন শোরুম উদ্বোধন হচ্ছে। দেশজুড়ে এখন পর্যন্ত হারল্যানের মোট ৪০ টিরও বেশি আউটলেট রয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কমপক্ষে এক হাজার শোরুম নিয়ে মানুষের কাছে অথেনটিক এবং কোয়ালিটি কসমেটিকস পণ্য পৌঁছে দিবে হারল্যান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি একদিন সারা বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পরবে হারল্যানের সেবার পরিধি।
আমি আপনাদের আরও জানাতে চাই, আমাদের এই বৃহৎ ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে দেশের হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সেই সাথে, আপনারা হয়ত জানেন, যে বাংলাদেশে রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ, আমরা এই সম্পদ যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের পণ্য সমুহের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করব। এর মাধ্যমে খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন এক দুয়ার।
পরিশেষে আমি বলতে চাই, দেশের বিদ্যমান সকল নীতিমালা মেনে আমরা এক অভুতপুর্ব দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করব এবং নিজেদের দেশসেরা কোম্পানি হিসেবে গড়ে তুলবো। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সাধারন মানুষের ভালোবাসার কারণেই আমি এতদূর এসেছি, এবার আমি আমার অথেনটিক কসমেটিকস পণ্যের মাধ্যমে আপনাদের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারব। এবং আমার মতই আমার প্রোডাক্টও পুরো দেশ ও দেশের সীমানা পেরিয়ে সারা বিশ্বব্যাপী আমাদের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।
এমআই