নিজস্ব প্রতিবেদক:
উগান্ডার কাম্পালায় তৃতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
রোববার (২১ জানুয়ারি) উগান্ডার কাম্পালায় তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়।
বৈশ্বিক অর্থনীতির কাঠামো সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এছাড়া জাতিসংঘের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি বৈশ্বিক প্রক্রিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ নিরসনে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখার জন্য অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
২০২৪ সাল জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য হওয়ার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ এটিকে যথাযথভাবে উদযাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি গুতেরেসকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান।
দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও মহাসচিবকে ব্রিফ করেন হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, জনগণের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উগান্ডার কাম্পালায় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন এবং ৭৭ জাতি গ্রুপ ও চীনের তৃতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ এ মুহিত, কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মুহাম্মদ প্রমুখ।
এদিকে রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার ওয়ালিদ এল খেরেজি। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নতুন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান। দুই ভ্রাতৃপ্রতীম দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সংযোগ বৃদ্ধিসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয়ে তারা আলোচনা করেন।
এর আগে শনিবার (২০ জানুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠকে তারা পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয় এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কক আরও এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নতুন ভূমিকায় আসার জন্য ড. জয়শঙ্কর ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন নয়া দিল্লি সফর নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এমআই