বুধবার, জানুয়ারী ২৪, ২০২৪
সময় জার্নাল ডেস্ক:
যশোরের শার্শা উপজেলায় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় রকমারি সবজি চাষি মনজুরুল আহসান স্কোয়াস চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। শীত মৌসুমে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি একবিঘা জমিতে স্কোয়াস চাষ করে একদিকে যেমন সফলতা পেয়েছেন অন্যদিকে লাভবানও হয়েছেন তিনি।
চাষি মনজুরুল আহসান উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজের পড়ুয়া শিক্ষার্থী।
তিনি জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে আম, বরই, টমেটো, বাঁধা ও ফুলকপিসহ বিভিন্ন ধরণের সবজি ও ফল চাষ করে থাকেন। এরমধ্যে ইউটিউবে ভিডিও দেখে শার্শা উপজেলার কৃষি বিভাগের পরামর্শে উপজেলা থেকে স্কোয়াসের বীজ নেন।
বাড়িতে মিস্টি কুমড়া বা লাউয়ের মতো বীজ বপন করে গাছ গজিয়ে পরে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে জমিতে রোপণ করেন। প্রায় দেড় মাস পর ফল আসতে শুরু করে। স্কোয়াস গাছ একদম মিষ্টি কুমড়ার মতো। পাতা, ডগা, কান্ড দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটি মিস্টি কুমড়া নাকি স্কোয়াস গাছ।
মনজুরুল আহসান বলেন, ‘প্রায় ৩৩ শতক জায়গায় এটা চাষ করেছি। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে পরিচর্চা করেছি। প্রথম চাষ, তাই পরিচর্চা বুঝতে এবং খরচ একটু বেশি হয়েছে। তবে একটি স্কোয়াস বাজারে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় বেশ লাভ হয়েছে। স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় আগামীতে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে এই স্কোয়াস চাষ করবো।’
তিনি আরো জানান, প্রতিটি স্কোয়াস দেড় থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। সবজি হিসেবে এই এলাকায় স্কোয়াস নতুন হওয়ায় এর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ও স্কোয়াস ক্ষেত দেখতে স্থানীয় অন্যান্য সবজি চাষিরা আসছেন। তার স্কোয়াস চাষে এলাকার সাধারণ কৃষকরা বেশ অনুপ্রাণিত এটা দেখে তিনি উচ্ছসিত।
এ বিষয়ে স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পলাশ কিশোর ঘোষ বলেন, স্কোয়াস বিদেশী সবজি শার্শার মাটিতে প্রথমবার এটার চাষ হয়েছে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও কম খরচে অধিক লাভের চাষ বলে ধারনা হচ্ছে আগামীতে এই এলাকায় প্রচুর স্কোয়াস চাষের প্রসার ঘটবে।
সময় জার্নাল/এলআর