নিজস্ব প্রতিবেদক
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা অষ্টম দিনে উদ্ধার হয়েছে। পদ্মার ৫০ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত ফেরিটি উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। উদ্ধার অভিযানে ডুবে যাওয়া ৯টি যানবাহনও উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধাকে পানির উপরিভাগ থেকে সোজা করে টেনে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে নদীর তীরের পাশে আনা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নৌ বাহিনীর ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরান বলেন, নৌ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস এবং বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দলের সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করে প্রায় ৫০ ফুট পানির নিচে থাকা ফেরিটি উঠিয়ে ভাসমান অবস্থায় ইয়ার লিফটিং ব্যাগ এবং ওয়্যার রোপ (শক্তিশালী তামার তার) দিয়ে ধরে রাখা হয়। পরে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেরিটি সোজা করে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের মাধ্যমে টেনে পাটুরিয়া ঘাটে ভেড়ানো হয়। এখন সেখানেই ফেরিটি নোঙর করে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১২টার পর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি রজনীগন্ধা। ফেরিটিতে ৯টি মালবাহী যানবাহন ছিল। রাত দেড়টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে আটকা পড়ে ফেরিটি। পরের দিন বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল আটটার দিকে ফেরিটি ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায়। এসময় ফেরিতে থাকা ট্রাক চালক, সহকারী ও ফেরির স্টাফসহ ২১ জনের মধ্যে ২০ জনকে স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিখোঁজ হন ফেরির সহকারী ইঞ্জিন চালক হুমায়ুন কবির। ফেরি ডুবির ৬ দিন পর পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার ভাটিতে হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মায় ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। হুমায়ুন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মাটিভাঙ্গা গ্রামের মৃত আবদুল লতিফের ছেলে। তিনি পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধার সহকারী ইঞ্জিন চালক ছিলেন।
আরইউ