মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শামসুল হক পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা। ৪ সন্তান এবং সহধর্মীণী নিয়ে কোনো ভাবে দিন কাটে তার। গেল বছরের ২ নভেম্বর তাদের সংসারে নেমে আসে এক বিভীষিকাময় দিন। এক নির্মম সড়ক দুর্ঘটনায় ৩য় সন্তান বাদশার দু’টি পা থেঁতলে যায়। গেল বছরের ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় মিরসরাই পৌর সদরে মহাসড়কের আইল্যান্ডের পাশে দাঁড়ানো থাকা অবস্থায় ঢাকাগামী অজ্ঞাত দ্রুতগামী একটি কার্ভাডভ্যান তাকে চাপা দেয়। এতে তার বাম পায়ের ৫টি অংশে ভেঙ্গে যায়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই পৌর সদরে দ্রুতগামী অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় দু’পা থেঁতলে যাওয়ায় প্রথমে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও পরে তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়।
আহত মো. বাদশা (১২) উপজেলার মিরসরাই লতিফীয়া কামিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সে মিরসরাই পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের শামছুল হকের ৩য় সন্তান । তার বাবা মিরসরাই ভূমি অফিসের সামনের সড়কে ভ্রাম্যমান দোকানে সবজী বিক্রি করেন। ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে বাদশা ৩য়।
বাদশার বাবা শামছুল হক বলেন, ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ১২ দিন চিকিৎসার পর তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করাতে হয়। বর্তমানে হাসপাতালটির ৮ম তলায় ৮০২ নং ওয়ার্ডে গ্রীণ বেডে তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন দানশীল ও বিত্তবান ব্যক্তি থেকে সাহায্য নিয়ে এতোদিন চিকিৎসা চালিয়েছি। আমি সবজি বিক্রি করে কোনভাবে সংসার চালাই আমার পক্ষে ছেলের চিকিৎসার এতো টাকা ব্যয় করা আর সম্ভব হচ্ছে না। এ পর্যন্ত কয়েকটি অপারেশন করে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে মাংস নিয়ে বাম পায়ে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছে ডাক্তাররা। পরিপূর্ণ সুস্থ হতে আরো ৩-৪ মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকা লাগবে বলে জানান তারা। তার চিকিৎসার জন্য আরো ৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে আমার ছেলেকে বাঁচাতে পারবো। সাহায্য করার জন্য শামছুল হক ০১৮২৬-৫৩৬৮৯৭ (বিকাশ) যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন সবার প্রতি।
মিরসরাই পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহির উদ্দিন বলেন, সামছুল হক একজন সবজি বিক্রেতা। সবজি বিক্রি করে সংসার চালান। সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে তার ছেলেকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে।
কথায় আছে মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটি সতানুভূতি কি মানুষ পেতে পারেনা।
আরইউ