আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত ইরানি টার্গেটগুলোতে সিরিজ হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কর্মকর্তারা বিবিসির ইউএস পার্টনার সিবিএস নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
কর্মকর্তারা বলেন, কয়েক দিন ধরে হামলা হবে। আবহাওয়ার ওপর ভিত্তি করে হামলার সময় নির্ধারণ করা হবে।
সিরিয়া সীমান্তের কাছে জর্ডানে এক ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সৈন্য নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত একটি মিলিশিয়া গ্রুপকে দায়ী করেছে। ইসলামিক রেসিস্ট্যান্স ইন ইরাক নামের ওই গ্রুপটিকে ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ড বাহিনী অস্ত্র প্রদান, তহবিল সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে ওই হামলার সাথে ইরান তার জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। চার মার্কিন মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, যে ড্রোন ওই হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে, তা ইরানের তৈরী।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, 'মার্কিন সৈন্যদের ওপর হামলাকে বরদাস্ত করবে না যুক্তরাষ্ট্র।'
তিনি বলেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আমাদের স্বার্থ এবং আমাদের জনগণকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব। আমরা কোথায়, কখন এবং কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাব, তা বেছে নেব।'
সিবিএসের কথা কথা বলা কর্মকর্তারা ঠিক কখন হামলা হতে পারে, তা জানাননি। তারা বলছেন, খারাপ আবহাওয়াতেও মার্কিন সামরিক বাহিনী হামলা চালাতে পারে। তবে যখন দৃশ্যমানতা ভালো থাকবে, তখন বেসামরিক ক্ষতি এড়ানো সহজ হবে।
ইরানের মাটিতে ইরানের ওপর হামলা চালানোর জন্য রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের কাছ থেকে ভয়াবহ চাপে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তবে বাইডেন মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে উত্তেজনা আরো বাড়াতে খুব একটা আগ্রহী নন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রেক্ষাপটে ইয়েমেনভিত্তিক ইরান-সমর্থিত হাউছি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে ইসরাইলের সাথে সম্পর্কি বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলার প্রেক্ষাপটে ইরান ইতোমধ্যেই সিরিয়া থেকে তাদের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর