নিজস্ব প্রতিনিধি:
নিজ দেশ মিয়ানমারে যেতে একজোট হয়ে সমাবেশ করেছে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা। এবার রোহিঙ্গাদের নেতৃত্বে এগিয়ে এসেছে যুবকরা।
সমাবেশ থেকে জাতিসঙ্ঘের সংস্থাসমূহকে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের সাথে আলাপ করে দ্রুত স্বদেশ ফেরত পাঠানোর দাবি জানানো হয়। না হলে একযোগে মিয়ানমারে ফিরে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
একই সাথে রাখাইনে চলমান সঙ্ঘাতে সেখানে থাকা রোহিঙ্গাদের ধৈর্য আহ্বান এবং কোনোভাবেই স্বদেশ ছেড়ে পালিয়ে না আসার অনুরোধ জানানো হয়।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে জড়ো হয় রোহিঙ্গারা। সেখানে কনভেনশনের আয়োজন করা হয়। তখন সবার গায়ে সাদা শার্ট ও লুঙ্গি ছিল।
আয়োজকদের মধ্যে এক রোহিঙ্গা যুবক ইয়াছিন শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে প্রতিবেদককে জানান, উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প থেকে আসা রোহিঙ্গাদের হেড মাঝি, সাব-মাঝি, ধর্মীয় নেতা ও নারীরা এ সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। সেখানে একযোগে রোহিঙ্গারা ‘অনেক হয়েছে আর নয়, এবার স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরতে চায়’ বলে স্লোগান দেয়া শুরু করে।
রাখাইনে চলমান সঙ্ঘাতের কারণে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য ওপারে সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমারের অনেক রোহিঙ্গা। তবে তাদের এদেশে ঢোকার ব্যাপারে বিরোধিতা করছে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গারা।
উখিয়া উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, রাখাইনে চলমান সঙ্ঘাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ থমকে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো: মিজানুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের সাথে আলোচনা অনেক এগিয়ে গিয়েছিল। তার ছন্দপতন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘সঙ্ঘাত হয়তো দীর্ঘমেয়াদি হবে না। আশা করি, পরে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর জন্য প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে, যেন কোনোভাবেই নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ না হয়।’
সময় জার্নাল/এলআর