শামীম হোসাইন রিগান, পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের নেছারাবাদে নবম শ্রেণির (১৫) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল (৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিবাগত রাতে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে উপজেলার নাপিতখালি গ্রামে একটি মুরগির খামারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আজ (৪ ফেব্রুয়ারি) রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেছারাবাদ থানার ওসি তদন্ত এইচ এম শাহীন।
অভিযুক্ত দুজন হলেন আল-আমীন শেখ ওরফে মুন্না (৩৫) এবং দবির শেখ ওরফে আকাশ (২৬)। আকাশকে গ্রেপ্তার করা হলেও মুন্না পলাতক রয়েছেন।
ছাত্রীর পরিবার সূত্র জানায়, আকাশ নাপিতখালি গ্রামে মুরগির খামারে কাজ করতেন। সেই সুবাদে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মুন্না প্রায়ই আকাশের কর্মস্থলে আসা যাওয়া করতেন। এর মধ্যে মুন্নার সঙ্গেও ওই ছাত্রীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ঘটনার দিন মুন্না মেয়েটিকে আকাশের কর্মস্থল নাপিতখালিতে নিয়ে যায়। পরে দুজনই ধর্ষণ করে। মেয়েটি বাড়িতে এসে পরিবারের কাছে সব খুলে বলে। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে মুন্না এবং আকাশকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
নেছারাবাদ থানার ওসি তদন্ত এইচ এম শাহীন জানান, ‘এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মুন্না এবং আকাশকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ওই ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আকাশকে গ্রেপ্তার করে পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি মুন্না পলাতক রয়েছেন।’
সময় জার্নাল/এলআর