ইসাহাক আলী, নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের নলডাঙ্গার তেঘরিয়া গ্রামে এক অচিন পাখি ঠোঁটে বয়ে এনেছেন আরবিতে লেখা চিঠি। তাই দেখতে এখন কৃষক সন্তোষ প্রামাণিকের বাড়িতে ভিড় করছেন এলাকার নানা বয়সের উৎসুক শত শত মানুষ। তবে এখনো উড়ে আসা পাখিটির জাত নির্ণয় করতে পারেননি। পাখিটি দেখতে অনেকটা কবুতর ও ঘুঘুর মতো। আর ঠোঁটে ছিল আরবি ও বাংলায় লেখা চিরকুট। আরবি লেখাটি বোঝা না গেলেও বাংলায় লেখা আছে দুইজন পুরুষ ও নারীর নাম লেখা। তবে পাখিটি ক্ষুধার্ত থাকায় টিনের চালে বসলে উঠানে খাবার দিতেই নেমে আসে। আর তখনই তাকে খাচায় আটকায় বাড়ির লোকজন।
রোববার দুপুরে জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের সন্তোষ প্রামানিকের বাড়ির টিনের চালে হঠাৎ এসে এক অচিন পাখি এসে বসে।
সেটা দেখতে পেয়ে সন্তোষের স্ত্রী মানিকজান অচিন পাখি দেখে কৗতুহল বশত পাখিটিকে খাবার ছিটিয়ে দিলে পাখিটি টিনের চালা থেকে মাটিতে নেমে আসে। পরে খাবার দিয়ে পাখিটিকে ধরে খাঁচায় বন্দি করে বাড়ির লোকজন। খাঁচায় আটকাতে গিয়ে ওই অচিন পাখির ঠোঁটে হাতে লেখা আরবি ও বাংলায় লেখা কাগজের চিরকুট দেখতে পায় তারা।
চিরকুটের নিচের অংশে বাংলা অক্ষরে লেখাটি দুই জন নারী ও দুই জন পুরুষের নাম লেখা। তবে আরবি লেখাটি কেউ পড়তে পারেনি। বিষয়টি জানাজানি হলে আশে পাশের গ্রামের শত শত উৎসুক নারী পুরুষ ও শিশুরাসহ নানা বয়সী মানুষ এক নজর দেখতে ভীড় করে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সময় জার্নাল/এসএ