আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে তেহরিক-ই-পাকিস্তান (পিটিআই)-সংশ্লিষ্ট পার্লামেন্ট সদস্যরা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তারা প্রায় ১০০ আসনে জয়ী হয়েছে।
ফলে অঘোষিতভাবে তারাই পার্লামেন্টে একক বৃহত্তম দল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৩টিতে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৩টিতে এবং এমকিউএম-পি ১৭টিতে জয়ী হয়েছে।
ইসলামাবাদ থেকে আল জাজিরার কামাল হায়দার বলেন, 'এটা সম্ভবত পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত নির্বাচন।'
তিনি বলেন, পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গোহার আলি খান তার দলের কেন্দ্রীয় ও পাঞ্জাবে সরকার গঠনের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। এছাড়া খাইবার পাকতুনখাওয়া প্রদেশেও তার দল বিপুল বিজয় পেয়েছে। তবে নওয়াজ শরিফও বিজয় দাবি করেছেন।
পাকিস্তানি বিশ্লেষক জাইগাম খান বলেছেন, বর্তমান অবস্থার নিরসন হওয়ার দুটি পথ আছে। খুব সম্ভবত ইমরান খানের পিটিআইকে বাদ দিয়ে অন্য সকল দল একটি জোট সরকার গঠন করতে পারে। এতে পিএমএল-এন, পিপিপি, জামায়াতে ইসলামি এবং দলগুলো শরিক হবে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিকল্পটি হলো পিটিআইয়ের সাথে পিপিপি যোগ দিয়ে সরকার গঠন করবে। তবে প্রায়োগিকভাবে সম্ভব হলেও বাস্তবে সম্ভাবনা খুবই কম।
উল্লেখ্য, ইমরান খানের সরকার পতনের পর পিএমএল-এন এবং পিপিপি ও অন্য দলগুলো মিলে সরকার গঠন করেছিল।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে পিটিআই সরকার গঠনের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন পিটিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর খান।
একই আজ রোববার পিটিআই দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সময় জার্নাল/এলআর