মো. জাহিদুল হক, চবি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে 'সংবাদ প্রদর্শনী' এর জন্য নির্মিত স্থাপনা তুলে ফেলার অপচেষ্টার প্রতিবাদে
প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এতে সরাসরি প্রশাসনের হাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
সোমবার ( ১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুল হক বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আমাদের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের মদদে সেই সংবাদ প্রদর্শনীর জন্য নির্মিত স্থাপনা তুলে ফেলার অপচেষ্টা করা হয় এবং কর্মরত শ্রমিককে হুমকিও দেওয়া হয়। আমরা এমন কাজের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে কাঠামো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রশাসনের সবজায়গায় দুর্নীতির দাগ লেগে আছে। এই ক্যাম্পাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কেউই নিরাপদ নয়। এমনকি নিরাপত্তার কর্মীরাও নিরাপদ নয়। আমাদের দাবি পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই আন্দোলন চলমান থাকবে।
সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের আন্দোলন চলছে। শেখ মুজিব ১৯৭৩ এ একটি আইন দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় সুচারু ভাবে পরিচালনার জন্য। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন বারংবার তাদের কাজের মাধ্যমে সেই আইনকে লঙ্গন করে চলছে। আপনারা দেখতেই পারছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে এতো এতো নেতিবাচক সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। একটা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এতো সংবাদ কখনো প্রকাশ হয়নি।
তিনি বলেন আরও বলেন , বিশ্ববিদ্যালয় এত নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে যে বলার বাহিরে সরকারকে অনুরোধ করব যেন বিশ্ববিদ্যালয় সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য সরাসরি হস্তক্ষেপ নেয়। সাথে সাথে মাননীয় উপাচার্যকে অনুরোধ করবো আপনি চেয়ার ছেড়ে দিন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে চলমান অনিয়ম, দুর্নীতি ও ৭১ এর আইন ভঙ্গের বিরুদ্ধে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে আসছে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এমআই