নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিকেল গড়াতেই অমর একুশে বইমেলায় ঢল নামে দর্শনার্থীদের। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা আর নানা বয়সী মানুষের সমাগমে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয় পুরো প্রাঙ্গণজুড়ে। তবে, এর মাঝেও লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে দেখা গেল অদ্ভুত এক শূন্যতার। মেলার অন্যান্য স্থানে দর্শনার্থীদের বেশ সমাগম থাকলেও এ চত্বর পুরোটাই ফাঁকা। সবার কাছে এটি লিটলম্যাগ চত্বর নামে বেশি পরিচিত।
এক সময় বইমেলায় আলাদা করেই নজর কাড়ত লিটলম্যাগ চত্বর। বছরের পর বছর নবীন-প্রবীণ লেখকের যোগসূত্র তৈরি হত এ চত্বরকে ঘিরেই। মেলায় এলেই সেখানে ঢু মারতেন সবাই, আড্ডায় বুঁদ হয়ে থাকতেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যেত কথায়, তর্ক আর বির্তকে। খ্যাতনামা সাহিত্যকদের আড্ডায় মুখর থাকা লিটলম্যাগ চত্বরের সেই দিন এখন আর নেই।
টিএসসি গেইট দিয়ে মেলায় ঢুকলেই লিটলম্যাগ চত্বর। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে মানুষের উপস্থিতি অনেক বেশি হলেও একেবারেই উল্টো চিত্র পার্শ্ববর্তী লিটল ম্যাগাজিন চত্বরের। মানুষজন না থাকার কারণে অবসর সময় পার করছেন স্টলের দায়িত্বে থাকা বিক্রয় কর্মীরা। কেউ গল্প করছেন অন্যান্যদের সঙ্গে, কেউ আবার বসে আছেন বিরস মুখে। কেউবা মাথা এলিয়ে দিয়েছেন টেবিলের ওপর।
যদিও বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলছেন, বরাবরই এমন পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত তারা। কারণ হিসেবে তারা বলেন, এই চত্বরে শুধুমাত্র একজন লেখকের ব্যক্তিগত বই থাকে৷ তাই হয়ত মানুষের আগ্রহ কম। তবে, স্টলের ব্যবস্থাপনা নিয়েও তাদের মধ্যে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
মেলায় আসা পাঠক-দর্শনার্থীরাও বলছেন, বইমেলার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর অনেকটাই নিষ্প্রভ। মানুষের উপস্থিতি না থাকার কারণে অনেকটা ভিন্ন অবস্থা দেখা যাচ্ছে।
মেলায় হাজার ছাড়িয়েছে নতুন বই
সোমবার ছিল একুশে বইমেলার দ্বাদশ দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বইমেলা পরিচালনা কমিটির জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, এদিন মেলার তথ্যকেন্দ্রে নতুন বই জমা পড়েছে ১১৫টি। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩০টি নতুন বই জমা পড়েছে তথ্যকেন্দ্রে।
আজ মঙ্গলবার যা যা ছিল
যথারীতি এদিন মেলা শুরু হয় বিকাল ৩টায়। বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহমাদ মোস্তফা কামাল।
এমআই