বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহামারি করোনাভাইরাসের ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে পড়ে দেশের শিক্ষাপঞ্জি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিখন ঘাটতি নিয়েই এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে ওঠে শিক্ষার্থীরা। উলটপালট হয়ে পড়ে পাবলিক পরীক্ষার সময়সূচিও। পরীক্ষা নেওয়া হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। সেই রেশ কাটিয়ে এবার পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা।
বাংলা প্রথমপত্র দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এদিন সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত সারাদেশের তিন হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবে প্রায় সোয়া ২০ লাখ পরীক্ষার্থী। তবে গত বছরের চেয়ে এবার এসএসসিতে প্রায় অর্ধলাখ পরীক্ষার্থী কমেছে। আর বরাবরের মতো ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রী সংখ্যা বেশি।
শিক্ষকরা বলছেন, এবার পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা হলেও শিক্ষার্থীদের খুব একটা সমস্যা হবে না। এবার যারা এসএসসিতে অংশ নিচ্ছে, তারা নবম শ্রেণিতে উঠেছিল ২০২২ সালে। ওই সময় বছরের শুরুতে কয়েক সপ্তাহ স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। তারপর স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চলেছে। ফলে শিখন ঘাটতি থাকছে না।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে করোনার কারণে দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই বছর এসএসসি পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হলেও আটকে যায় এইচএসসি। বাধ্য হয়ে এইচএসসিতে ‘অটো পাস’ দেওয়া হয়। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে ২০২১ সালের নভেম্বরে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়। ওই বছর শুধু তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে তত্ত্বীয় পরীক্ষা নেওয়া হয়।
এরপর ২০২২ ও ২০২৩ সালেও পুনর্বিন্যাস করা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা হয়। ২০২২ সালে এসএসসিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিতের মতো আবশ্যিক বিষয়েও পরীক্ষা হয়। তবে বিভাগভেদে অন্তত তিনটি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হয়নি। আর সর্বশেষ ২০২৩ সালে সব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হলেও সিলেবাস ছিল সংক্ষিপ্ত।
এমআই