বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৪
কাউছার আহমেদ, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজি বসন্ত কবি সুভাস মুখোপাধ্যায়ের এই অমর পঙক্তিটি বাঙালি জাতিকে বসন্তের আগমনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। কোকিলের সুমধুর ডাক আর রঙ বেরঙের ফুলের সমারোহ নিয়ে আগমন ঘটেছে ঋতুরাজ বসন্তের।বসন্ত ঋতুকে প্রায়শই প্রেম, সৌন্দর্য ও নতুন সূচনার ঋতু হিসেবে দেখা হয়। বসন্ত নিয়ে বাঙালির উন্মাদনা চিরকালের। এবার বসন্ত বাতাসে ফাগুনের রং মিশে আছে ভালোবাসার আবেশের। এই উন্মাদনায় পিছিয়ে নেই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।
বসন্ত মানেই একরাশ পূর্ণতা। বসন্ত মানেই তারুণ্যে নতুন রঙের জোয়ার। বাসন্তী, হলুদ, সবুজ কিংবা নিজের পছন্দমতো রঙের শাড়ি পড়ে, মাথায় ফুলের মুকুট দিয়ে বসন্তকে বরণ করে নেয় তরুণীরা, পিছিয়ে নেই তরুণরাও। বসন্তের এই আগমনী সুবাতাস হৃদয় ছুঁয়ে গেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের।
যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই বিচিত্র সব বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ। ভ্রমরের পাশাপাশি ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো বটেই সঙ্গে প্রাকৃতিক শোভা টেনে আনছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকেও ঘুরতে আসা বিভিন্ন বয়সের মানুষদের। কাম্পাসের প্রধান ফটক, বঙ্গবন্ধু ম্যূরাল এর সামনের চত্বর,হাজী মুহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামের সামনে,একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবনের সামনের গোল চত্বর,লাইব্রেরি ভবন,মেডিক্যাল সেন্টার, কেন্দ্রীয় মসজিদ সহ ছাত্রহল ও ছাত্রী হলের সামনে বিভিন্ন ফুলে সেজেছে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস। দেখতে আরও চমকপ্রদ যে ফুলে ফুলে উড়ে বেড়ায় নানা জাতের প্রজাপতি আর মধু আহরণে ব্যস্ত মৌমাছি।
এমআই