আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তথ্য প্রযুক্তির উদ্ভাবনীর প্রতিযোগীতায় মেতেছে পুরো বিশ্ব। এ দৌড়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে জাপানের বিজ্ঞানীরা। প্রথমবারের মতো কাঠ দিয়ে স্যাটেলাইট তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। এটি মূলত কাঠের তৈরি ছোট আকারের কৃত্রিম উপগ্রহ। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘লিগনোস্যাট’। প্রতিবেদন- দ্য গার্ডিয়ান।
জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং কাঠের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সুমিৎমো ফরেস্ট্রি মিলে এই কাঠের স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছেন। কাঠের মতো ক্ষয়যোগ্য উপকরণ বর্তমানে উপগ্রহ নির্মাণে ব্যবহৃত ধাতুগুলোর পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে কি না তা দেখার জন্য তারা এ পরীক্ষা করেন।
ম্যাগনোলিয়া কাঠের তৈরি লিগনোস্যাট প্রোব নামের স্যাটেলাইটটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এ কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট তুলনামূলক স্থিতিশীল ও ফাটল রোধী। চলতি গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্রের রকেটে করে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কফি মগের চেয়েও ছোট আকৃতির স্যাটেলাইটটি মহাকাশে অন্তত ছয় মাস থাকবে। এরপর এটিকে বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
কক্ষপথে আবর্তনের সময় যদি লিগনোস্যাটের কার্যক্রম ভালো হয়, তবে আরও কাঠের স্যাটেলাইট তৈরির দুয়ার খুলে যাবে।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে প্রতি বছর ২ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। এ স্যাটেলাইটগুলো পুনরায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় পুড়ে যাওয়ার কারণে যে পরিমাণে অ্যালুমিনিয়াম ওপরের স্তরের বায়ুমণ্ডলে জমা হবে তা শিগগিরই বড় ধরনের পরিবেশগত সমস্যা তৈরি করতে পারে।
মহাকাশ দূষণ মোকাবিলায় মূলত বিজ্ঞানীরা এ অভিনব উপায় অবলম্বন করেছেন। লিগনোস্যাটের মতো কাঠের তৈরি স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে দূষণের কোন সমস্যা হবে না। মিশন শেষে বায়ুমণ্ডলে আবার প্রবেশের সময় এটি পুড়ে যে ছাই তৈরি হবে সেটি মাটিতে দ্রুতই মিশে যাবে।
সময় জার্নাল/এলআর