নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২১ আমাদের শিখিয়েছে মাথানত না করা। আমরা মাথা উঁচু করেই চলবো। বিশ্বের বুকে মর্যাদা নিয়ে চলবো। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক ২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হকের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দরিদ্র একজন মানুষ সমাজকে নিয়ে ভেবেছেন, কাজ করেছেন। দই বিক্রি করে পাঠাগার করেছেন, তিনি আমাকে বলেছেন, ওই পাঠাগারের স্থায়ী জমি দরকার। তার করে দেওয়া স্কুলটিও সরকারি করার জন্য বলেছেন। আমি খোঁজখবর নেবো। তাদের জন্য করবো, জাতির পিতার কন্যা হিসেবে বলছি।
তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সারা পৃথিবী আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালন করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হারিয়ে যাওয়া মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য একটি ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি।
আজকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য কয়েকজনকে আমরা একুশে পদক দিতে পেরে আনন্দিত, গর্বিত। সমাজে আরও অনেক গুণী আছে। একসঙ্গে তো সবাইকে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে, ত্যাগী এই মানুষদের খুঁজে বের করা সমাজের উচ্চ শ্রেণির দায়িত্ব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের সংগ্রাম গড়ে তুলেছিলেন, তার পথ বেঁয়ে আসছে আমাদের স্বাধীকার। দুঃখের বিষয় ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে।
আমরা সে সময়কার গোয়েন্দাদের প্রতিবেদন নিয়ে বই বের করেছি। সেসব গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান উঠে এসেছে। অনেকে বলেন তিনি তো জেলে ছিলেন। আসলে তিনি জেলে ছিলেন কেন? আন্দোলন গড়ে তুলেছেন বলেই তো।
সময় জার্নাল/এলআর