জেলা প্রতিনিধি:
নওগাঁর সাপাহারে আরবি ২য় পত্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ৫৯ জন ভুয়া দাখিল পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রথমে আটক করা হলেও পরবর্তীতে তাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। একইসঙ্গে ওই মাদরাসার প্রধানদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে চলমান দাখিল পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুয়া পরীক্ষার্থী দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানো মাদরাসাগুলো হলো— সাপাহারের সিমুলডাঙা দাখিল মাদরাসা (সদ্য এমপিওভুক্ত), মানিকুড়া দাখিল মাদরাসা (সদ্য এমপিওভুক্ত), বলদিয়াঘাট দাখিল মাদরাসা (সদ্য এমপিওভুক্ত), পলাশডাঙা দাখিল মাদরাসা, দেওপাড়া দাখিল মাদরাসা, আলাদিপুর দাখিল মাদরাসা, তুলসিপাড়া দাখিল মাদরাসা, আন্ধারদীঘি দাখিল মাদরাসা। এরমধ্যে সদ্য এমপিওভুক্ত মাদরাসা ৩ টি এবং নন-এমপিওভুক্ত মাদরাসা ৫টি।
কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে আরবি ২য় পত্র বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কিছু ভুয়া পরীক্ষার্থী এই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন, সচিবের এমন নির্দেশে কক্ষ পরিদর্শকগণ খাতা স্বাক্ষর করার সময় বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে কেন্দ্র সচিবকে জানান। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্র সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে সাথে সাথেই তিনি কেন্দ্রে অভিযান চালান। এসময় শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, ছবিসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু যাচাই-বাছাই করেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করেন।
এই কেন্দ্রে ৪০টি মাদরাসার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে এবারে পরীক্ষা দিচ্ছেন ৮৯৮ জন পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে সিমুলডাঙা দাখিল মাদরাসা থেকে ১১ জন, পলাশডাঙা দাখিল মাদরাসা থেকে ৮ জন, দেওপাড়া সিংপাড়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৩ জন, আলাদিপুর দাখিল মাদরাসা থেকে ১ জন, তুলসিপাড়া দাখিল মাদরাসা থেকে ১৪ জন, বলদিয়াঘাট দাখিল মাদরাসা থেকে ২ জন, আন্ধারদীঘি দাখিল মাদরাসা থেকে ১৭ জন, মানিকুড়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৩ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পরবর্তীতে তাদের ছেড়ে দিলেও প্রকৃত পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, আমি গোপন সূত্রে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করি। এরপর ইউএনও স্যার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্যার এসে কক্ষ পরিদর্শকদের সহায়তায় এই ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীদের শনাক্ত করেন। এরপর তাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং ওই ৮টি মাদরাসার প্রধানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সেই মামলা দায়ের করার বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন।
এমআই