আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানির ‘কোরোনাভ্যাক’ কোভিড টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ডব্লিউএইচও মঙ্গলবার টিকাটি অনুমোদন করার কথা জানিয়েছে। এ নিয়ে চীনের উৎপাদিত করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেল। খবর বিবিসির।
ডব্লিউএইচও চীনের সিনোভ্যাকের এই টিকাকে কোভ্যাক্স প্রোগ্রামের আওতায়ও আনবে। মূলত গরিব দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কোভ্যাক্স নামের এই প্ল্যাটফার্ম গড়ে তোলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের প্যানেল ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য সিনোভ্যাকের এই টিকার দুই ডোজ সুপারিশ করেছে। দুই থেকে চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে।
এর আগে গত ৭ মে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত ওষুধ কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি দুটি টিকার মধ্যে বিবিআইবিপি-করভি জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল ডব্লিউএইচও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার মানে হল, বিশ্বের দেশগুলো এ টিকার মান ও কার্যকারিতায় আস্থা রাখতে পারে।
ডব্লিউএইচও এর আগে ফাইজার-বায়োএনটেক, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং মডার্নার টিকাও জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছিল।
কিন্তু ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ রাখায় গরিব দেশগুলো টিকার পুরো চালান সময়মত পাচ্ছে না। যার কারণে অন্য উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নিতে হচ্ছে বিভিন্ন দেশকে।
চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানি জানিয়েছে, তারা মে মাসের শেষ নাগাদ দেশে-বিদেশে এই টিকার ৬০ কোটিরও বেশি ডোজ সরবরাহ করেবে এবং ৪৩ কোটি ডোজ এরই মধ্যে মানুষকে দেওয়া হয়েছে।
ডব্লিউএইচও মঙ্গলবার চীনের সিনোভ্যাকের তৈরি কোভিড টিকা অনুমোদন করলেও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে আগে থেকেই এ টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন দেশে এই টিকার তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে টিকাটি ৫১ শতাংশ থেকে ৮৪ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে এর আগে এক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে জানিয়েছিল বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত ডব্লিউএইচও’র ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ’ (এসএজিই)।
সময় জার্নাল/আরইউ